শোয়েব আখতার হরভজনকে মারার হুমকি দিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি। তারকা স্পিনারকে মারতে টিম ইন্ডিয়ার হোটেলেও পৌঁছে গিয়েছিলেন। যদিও সেই সময় ভাজ্জি ছিলেন না। এমনি চাঞ্চল্যকর কাণ্ডের কথা এবার ফাঁস করলেন স্বয়ং শোয়েব আখতার।
২০১০ সালের সেই ঘটনার কথা স্মরণ করে শোয়েব আখতার হেলো এপের ভিডিও সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, "টিম ইন্ডিয়ার হোটেল রুমে গিয়েছিলাম হরভজন কে মারার জন্য। ও আমাদের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করে, লাহোরের রাস্তায় আমাদের সঙ্গেই ঘোরে, সংস্কৃতিও একই। তারপরেও ও আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবে?"
এর পরেই বেনজির কাণ্ড ঘটান রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস। তিনি জানতে থাকেন, "আমি হোটেল রুমে গিয়ে হরভজনকে মারতে গিয়েছিলাম। ও জানত শোয়েব আসছে। পরে ওঁকে আর খুঁজে পাইনি। আমি পরের দিন নিজেকে শান্ত রেখেছিলাম। ও নিজেও এসে আমার কাছে ক্ষমা চায়।"
ঠিক কী কান্ড ঘটেছিলো, তা আগেই জানিয়েছেন হরভজন। জানিয়েছিলেন, মাঠে শোয়েবের সঙ্গে একাধিকবার লেগেছিল তাঁর, তবে মাঠের বাইরে দুজনেই ভালো বন্ধু। ভাজ্জি বলেন, "শোয়েব একবার আমাকে হুমকি দিয়েছিল হোটেল রুমে এসে আমাকে মারবে। আমি জানাই, এস, দেখা যাবে কে কাকে মারে! তবে ওর কথা শুনে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ও একবার আমাকে আর যুবরাজকে হোটেলে ঠুকেছিল। ওর বড় চেহারার জন্য ওকে কাবু করা শক্ত।"
২০১০ এর এশিয়া কাপের ফাইনালে সেই কান্ড ঘটে। শেষ ওভারে ছয় মেরে ভারতকে জেতানোর পর হরভজন শোয়েবের দিকে আক্রমণাত্মক ব্যবহার করেছিলেন।
তার আগে ৪৭ তম ওভারেও শোয়েবের সঙ্গে একপ্রস্থ লেগে গিয়েছিল হরভজনের। সেই সময়েও হরভজন ছক্কা হাঁকান। পাল্টা আখতার হরভজনকে বাউন্সার দেয়। তারপরেই কথা কাটাকাটিতে জড়ান দুজন। শেষ ওভারে যদিও শেষ হাসি হাসেন ভাজ্জি। হরভজনের ১১ বলে ১৫ রানে ভর করে ভারত ম্যাচ জেতে ৩ উইকেই হাতে নিয়ে। তবে হরভজন ও শোয়েবের বক্তব্য অনুযায়ী, ম্যাচ শেষ হয়ে গেলেও দুই তারকার ব্যক্তিগত ডুয়েল হোটেল রুম অবধি পৌঁছে যায়।
সেই ম্যাচে হরভজনের ব্যাটিং পার্টনার ছিলেন সুরেশ রায়না। ইরফান পাঠানকে লাইভ চ্যাটে সেই ঘটনা জানতে গিয়ে রায়না বলেন, "ভাজ্জি বরাবরই ফাইটার। আমার মনে আছে ওর সঙ্গে শোয়েবের কথা কাটাকাটি হয়। তারপরেই ছক্কা মেরে আমাদের ম্যাচ জিতিয়ে দেয়।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন