বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে এখনও জয়ের খাতা খুলতে পারেনি পাকিস্তান। এই তথ্য নতুন নয়। ইন্দো-পাক মহারণ মানেই গনগনে উত্তাপের আবহ। চিরশত্রুদের বিপক্ষে পাকিস্তান সম্ভবত সবথেকে তিক্ত হার হজম করেছিল ১৬ বছর আগে। সেঞ্চুরিয়নের সেই ভারত-পাক মহারণ এখন ভারতীয় ক্রিকেটের লোকগাথায়। সেই হারের ক্ষত এখনও দগদগে ঘা হয়ে রয়ে গিয়েছে। শচীন-শেওয়াগের ব্যাটে কার্যত দুরমুশ হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। সেই ম্যাচ নিয়ে এবার সরাসরি মুখ খুলে শোয়েব আখতার জানিয়ে দিলেন, সেই ম্যাচে হারের জন্য দায়ী ছিল ওয়াকার ইউনুসের দুর্বল নেতৃত্ব। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এই বিষয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য প্রাক্তন পাক স্পিডস্টারের।
শোয়েব নিজের ইউটিউব চ্যানেলে জানিয়ে দিয়েছেন, ব্যথা কমার ওষুধ নিয়ে তাঁকে মাঠে নামতে হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, "ইঞ্জেকশনের জন্য বাঁ পায়ের হাঁটুতে জল জমে গিয়েছিল। হাঁটু কার্যত অসাড় হয়ে পড়েছিল।" সেই ম্যাচটাই শোয়েবের কেরিয়ারের সবথেকে খারাপ ম্যাচ। মেনে নিয়ে তারকা জানিয়েছেন, "২০০৩-এর বিশ্বকাপের ভারত-পাক ম্যাচ ছিল কেরিয়ারের সবথেকে হতাশাজনক ম্যাচ। স্কোরবোর্ডে ২৭৩ তুলেছিলাম আমরা। তা সত্ত্বেও ভারতকে থামাতে পারিনি আমরা।"
আরও পড়ুন
চার পরিবর্তন ঘটিয়ে আজ মাঠে কোহলিরা, জানুন প্রথম একাদশ কী হতে চলেছে
কোহলিদের হেড কোচ বাছাই নিয়ে তুমুল ঝামেলা! তুলকালাম কাণ্ড সমুদ্র-শহরে
আম্পায়ারের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার! তৃতীয় ম্যাচের আগেই শাস্তি তারকার
এরপর রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস দলের ড্রেসিংরুমের কথাও শেয়ার করেছেন। প্রথমে ব্যাট করে ৩০০-এর আগে আউট হয়ে যাওয়ার পরে শোয়েব আখতার সতীর্থদের জানিয়েছিলেন, দল কমপক্ষে ৩০-৪০ রান কম করেছিল। সেই কথা শুনে আবার সতীর্থরা চিৎকার করে জানিয়েছিল, ২৭৩ রানই ভারতকে হারানোর পক্ষে যথেষ্ট। তবে শোয়েব ম্যাচ রিডিংয়ে নিখুঁত ছিলেন। তিনি জানাচ্ছে, "আমার মনে হয়েছিল পিচ ব্যাটিং সহায়ক। দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটসম্য়ানরা সুযোগ পাবে।"
পাকিস্তানের সেই টার্গেট তাড়া করতে নেমে বিস্ফোরক মেজাজে অবতীর্ণ হয়েছিলেন শচীন-শেওয়াগ। ওয়াসিম আক্রম, ওয়াকার ইউনিস থেকে শোয়েব আখতার স্রেফ ভেসে গিয়েছিলেন ভারতের দুই ওপেনারদের মেজাজের সামনে। সেই স্মৃতি রোমন্থন করতে বসে শোয়েব জানাচ্ছেন, "বল করার সময় আমার পায়ে কোনও অনুভূতি ছিল না। দৌড়তে কষ্ট হচ্ছিল। শচীন আর শেওয়াগ খুলে ব্য়াট করছিল। শচীন তো আমাকে পয়েন্টের উপর দিয়েও ছক্কা হাকাচ্ছিল।"
শোয়েব রান খরচ করছেন দেখে ওয়াকার ইউনিস তাঁকে আক্রমণ থেকে সরিয়ে নেন। কিছুক্ষণ পরে নতুন স্পেলে আবার আক্রমণে আসেন। শোয়েবের দ্বিতীয় স্পেলে ক্রমাগত শর্ট বলেই শচীন আউট হয়ে যান। সেই কথা জানিয়ে শোয়েব বলেন, শুরু থেকেই তিনি এরকম বোলিং করতে পারতেন। তবে পায়ের ব্য়থার জন্য পারেননি। ওয়াকারের নেতৃত্বের সমালোচনাও করেছেন তিনি।