গত রবিবার গভীর রাতে শহরে পা রেখেছিলেন সনি নর্ডে। প্রায় হাজার দুয়েক সমর্থক বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন শুধুই সনি বন্দনা বাগান ফ্যানেদের মুখে। তাঁদের হিরো কামব্যাক করেছে ক্লাবে। ফলে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত সবুজ-মেরুন জনতা। নর্ডের কাছে তাঁদের প্রত্যাশা গগনচুম্বী।
২০১৪ থেকে নর্ডে মোহনবাগানে। হাইতির সুপারস্টারের সৌজন্যে গঙ্গাপারের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব পেয়েছিল আই-লিগ। গত জানুয়ারি মাসে নর্ডে হাঁটুর অস্ত্রোপচারের জন্য মোহনবাগান ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। ফের ফিরে এলেন সনি। মঙ্গলবার সকালেই নেমে পড়লেন মাঠে। বলাই বাহুল্য এদিন সকালেও শয়ে শয়ে সমর্থক হাজির ছিলেন নর্ডের জন্য গলা ফাটাতে। অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে উড়ে যাওয়ার আগে এদিন বাগান দল প্র্যাকটিস করল ঘণ্টা দেড়েক। শঙ্করলালের ছেলেরা নিজেদের মধ্যে খেললেন প্র্যাকটিস ম্যাচ। কিন্তু নর্ডি ফিটনেস টেস্ট দিলেন একাকী।
আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরের প্রথম দল হিসেবে আই-লিগ খেলবে রিয়াল কাশ্মীর, ওদের ইতিহাসটাও জেনে নিন
টিম মোহনবাগান
নর্ডিকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত বাগানের আরেক স্টার স্ট্রাইকার ডিপান্ডা ডিকা। একসঙ্গে খেলার জন্য় মরিয়া তিনি। বললেন, “নর্ডি ফিরে আসায় আমাদের দল আরও শক্তিশালী। এবছর খেতাব জেতানোর অন্যতম কারিগর হতে পারে ও। আমি ওর সঙ্গে জুটি বাঁধার জন্য় মরিয়া।” ডিকার সুরেই গলা মিলিয়েছে বাগানের আই-লিগ জয়ী অধিনায়ক শিল্টন পাল। তিনিও বললেন যে, সনির প্রত্যাবর্তন দলকে বাড়তি তাগিদ যোগাবে।
ডিকা রীতিমতো সমীহ করছেন চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকে। কিন্তু তাঁরা কত’টা আত্মবিশ্বাসী সেটাও বুঝিয়ে দিলেন কথায়। বললেন, “আমার মনে হয় আই-লিগে ইস্টবেঙ্গল আমাদের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী। আমরা খেতাবের লক্ষ্যে নামব। আমার মনে হয় ইস্টবেঙ্গল রানার্স হতে পারে। নেরোকা ও মিনের্ভা পাঞ্জাব প্রথম চারে থাকতে পারে।” অন্যদিকে শিল্টন ইস্ট-মোহনের তুলনা টানতে নারাজ। বললেন, “আমি কোনও দলের সঙ্গে আমাদের তুলনা করতে চাই না। আমি আমার দল নিয়েই কথা বলব। আমাদের টিম দারুণ করছে।”
২০১৪-১৫ মরসুমে সঞ্জয় সেনের কোচিংয়ে মোহনবাগান ভারতসেরা হয়েছিল। তার পরের দুই মরসুমে রানার্স হয় বাগান। এখন দেখার এবার শঙ্করলালের কোচিংয়ে ফের মোহনবাগান আই-লিগ ছিনিয়ে নিতে পারে কি না! আগামী শনিবার মোহনবাগানের আই-লিগ অভিযান শুরু হচ্ছে গোকুলাম কেরালা এফসি-র বিরুদ্ধে। আগামিকালই শঙ্করলাল অ্যান্ড কোং কেরলের উদ্দেশ্যে রওণা দিচ্ছে। আট বছর শঙ্করলাল ক্লাবকে দিয়েছেন কলকাতা লিগ। এবার তাঁর মিশন আই-লিগ।