আজ, সোমবার, বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) সভাপতি পদে নির্বাচিত হতে চলেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সব ঠিকঠাক চললে আজ সন্ধ্যায় হতে চলেছে এই মর্মে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। এবং প্রেসিডেন্ট ঘোষিত হলে তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে স্রেফ দ্বিতীয় ব্যক্তি হবেন, যিনি দেশের ক্রিকেট দল এবং বোর্ড, দুইয়েরই নেতৃত্ব দিয়েছেন।
সূত্রের মাধ্যমে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে যে মুম্বইয়ে রবিবারের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সৌরভকে বোর্ডের আগামী সভাপতি হিসেবে মনোনীত করা হয়। এই পদের জন্য তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রিজেশ প্যাটেল পেতে চলেছেন আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব। আজ সকালে অনুষ্ঠিত আরও একটি বৈঠকে চূড়ান্ত করা হয়েছে বোর্ডের সম্পাদক (সেক্রেটারি) ও কোষাধ্যক্ষের (ট্রেজারার) নামও।
আরও পড়ুন: বোর্ড সভাপতি হওয়ার পরে সৌরভকে শুভেচ্ছা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
সভাপতি পদে নির্বাচিত হলে সৌরভ ভারতের আরেক প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক, ভিজিয়ানাগ্রামের মহারাজকুমার অথবা 'ভিজি'র পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন। ১৯৩৬ সালের ইংল্যান্ড সফরে তিনটি টেস্ট ম্যাচে ভারতের অধিনায়কত্ব করেছিলেন ভিজি, এবং বোর্ড প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন ১৯৫৪ সালে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসেবে মনোনীত হন সুনীল গাভাস্কর, কিন্তু পূর্ণাঙ্গ সভাপতি কখনোই হন নি তিনি।
বর্তমানে বাংলার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৌরভ ভারতীয় দলের নেতৃত্বে ছিলেন ২০০০ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত। তাঁর অধিনায়কত্বে ২০০৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালেও ওঠে ভারত। নজিরবিহীন আগ্রাসী মনোভাবের দৌলতে তাঁর জমানায় ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়কত্বের সংজ্ঞাই পাল্টে ফেলেন ৪৭ বছর বয়সী 'মহারাজ'। একই সঙ্গে বহুযুগ পর পাল্টে যায় উপ-মহাদেশের বাইরে ভারতের টেস্ট ক্রিকেট খেলার ধরনও।
আরও পড়ুন: রঞ্জি ক্রিকেটেই থাকবে ফোকাস, বললেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট পদে মনোনীত সৌরভ
'ইন্ডিয়া টুডে'র সঙ্গে এক আলাপচারিতায় সৌরভ জানান, "আমি এই মনোনয়নে খুশি, কারণ এই মুহূর্তে বিসিসিআই-এর ভাবমূর্তি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত, এবং আমার কিছু করে দেখানোর দারুণ সুযোগ। নির্বাচনে কেউ আমার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন বা না করুন, বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট সংগঠনের দায়িত্ব পাওয়াটাই বড় ব্যাপার। ভারত ক্রিকেট দুনিয়ার 'পাওয়ার হাউজ'। কাজেই নিঃসন্দেহে বড় চ্যালেঞ্জ।"
বিসিসিআই-এর সংবিধান অনুযায়ী, আগামী বছরের জুলাই মাসে তাঁর বর্তমান পদ ছাড়তে হবে সৌরভকে, যখন তাঁর 'কুলিং অফ'-এর সময়সীমা চালু হবে। তিনি বিসিসিআই-তে চলে গেলে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের সভাপতি পদের জন্য নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।