জীবনের বাইশ গজে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করে ফেললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার নিজের ৫০তম জন্মদিন পালন করছেন মহারাজ। নিজের জন্মদিন উপলক্ষ্যে এক সাক্ষাৎকারে কেরিয়ারের বহু চড়াই উতরাই নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন।
সেই সাক্ষাৎকারে অনিবার্যভাবেই উপস্থিত হয় গ্রেগ চ্যাপেল প্রসঙ্গ, জাতীয় দলের কোচ হিসেবে তাঁর নিয়োগ নিয়ে। গ্রেগ চ্যাপেলকেই কোচ করার জন্য বোর্ডের কাছে অনুরোধ করেন তৎকালীন ক্যাপ্টেন সৌরভ। আর চ্যাপেল কোচ হয়ে সৌরভকে বাতিলের খাতায় ফেলে দেন। তবে গ্রেগ চ্যাপেলের নিয়োগের জন্য বোর্ডের কাছে তার তদ্বির করা মোটেই ভুল ছিল না। এমনটাই মনে করছেন দাদা।
সৌরভ অধিনায়ক থাকার সময়েই জাতীয় দলের কোচ হয়ে আসেন গ্রেগ চ্যাপেল। তবে চ্যাপেলের সঙ্গে সৌরভের সম্পর্ক আগের মত আর মসৃণ থাকেনি। টিম ইন্ডিয়া থেকে চ্যাপেলের মহা-প্রস্থানের পরেই একমাত্র সৌরভ জাতীয় দলে পুনরায় কামব্যাক করেন।
আরও পড়ুন: টিম ইন্ডিয়া থেকে খুব শীঘ্রই বাদ কোহলি! বিরাট ঘোষণার পথে সৌরভের BCCI
টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সৌরভকে প্রশ্ন করা হয়, চ্যাপলের নিয়োগের জন্য এখনও তাঁর আক্ষেপ হয় কিনা। সৌরভ সরাসরি জানিয়েছেন, "কাউকে নিয়োগ করার পরে সেই প্ল্যানিং যদি না খাটে, সেরকম হতেই পারে। সেটাই জীবনের নিয়ম। তবে এটা মোটেই ভুল ছিল না।"
চ্যাপেলের জন্যই সৌরভকে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করতে হয়েছিল তিনি ফুরিয়ে যাননি। মহারাজ এর আগে একাধিকবার জানিয়েছেন, সেরকম পরিস্থিতি তাঁর কাছে বেশ কঠিন ছিল। সৌরভের বক্তব্য, "ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে হওয়াটা সমস্যার ছিল না। তবে গোটা পরিস্থিতি বেশ কঠিন ছিল। কারণ এটা এমন একটা পর্যায়ে চলে গিয়েছিল যা আমার ব্যাটিং-বোলিং দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। সেই ঘটনার আগে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে একটানা ১৩ বছর খেলেছিলাম কোনও ব্রেক ছাড়াই। এমনকি একটা সিরিজ অথবা ট্যুরও মিস করিনি। এখন যেভাবে ক্রিকেটাররা বিশ্রামে যায়, সেরকম মোটেই রেস্ট নিইনি কখনও। তাই মাঝের চার-ছয় মাসের সেই ঘটনাকে ১৭ বছরের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের একটা ব্রেক বলেই ভেবে নিয়েছি।"
ক্যাপ্টেন হয়ে জাতীয় দলের মানচিত্রটাই বদলে দিয়েছিলেন। তুলে এনেছিলেন একের পর এক প্রতিভা। এখন বোর্ড সভাপতি হিসেবে প্রশাসনিক স্তরে বিপ্লব ঘটাচ্ছেন নিঃশব্দে।