মাত্র ২৪ ঘন্টা আগেই তাঁর টুইটার হ্যান্ডল থেকে ভেসে এসেছিল ধোনির জন্মদিনে করা স্বতস্ফূর্ত উইশ। সরাসরি ধোনিকে 'বড়দা' সম্ভোধন করে টুইটারে লিখে দিয়েছিলেন, "সকলের থেকে আলাদা একজন নেতা। ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য তুমি যা করেছ, তার জন্য ধন্যবাদ। তুমি অনেকটা আমার কাছে বড় ভাইয়ের মত। তোমার জন্য সবসময় ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা বরাদ্দ থাকবে। হ্যাপি বার্থডে ক্যাপ্টেন।"
তবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্মদিনে বিরাট কোহলির টাইমলাইনে শুক্রবার ভেসে এল না কোনও উইশ। অন্য কোনও প্রচার মাধ্যমেও সৌরভকে উইশ করেছেন বলে এমন খবর নেই। মহারাজের জন্মদিনে কোহলির এই হিরন্ময় নীরবতা নিয়েই আপাতত জাতীয় ক্রিকেট মহলে জোর চর্চা।
বীরেন্দ্র শেওয়াগ থেকে হরভজন সিং, ইরফান পাঠান- কে না উইশ করেননি সৌরভকে! সৌরভকে শুভেচ্ছা বার্তা জানানোর জন্য অলিখিত এক প্রতিদ্বন্দ্বিতাই যেন কার্যত চালু হয়ে গিয়েছে। শচীন তো প্রিয় বন্ধুর জন্মদিনে উড়ে গিয়েছেন সোজা লন্ডনেই। সেখানে জমকালো প্রাক-জন্মদিন পার্টি হয়েছে। সেই ছবিও ভাইরাল হয়েছে। জন্মদিনের মাঝরাতে লন্ডনের রাস্তায় সস্ত্রীক সৌরভের নাচে এখনও আচ্ছন্ন আপামর ক্রিকেট জগৎ। আর ইংল্যান্ড সফরে খেলতে যাওয়া কোহলিই কিনা একটুও আঁচ পেলেন না সেই সেলিব্রেশনের!
আরও পড়ুন: শাহরুখের গানেই লন্ডনের রাস্তায় জন্মদিন পার্টি! সৌরভের সঙ্গে নেচে অস্থির ডোনা-সানাও, দেখুন
এর পরেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে কয়েক মাস আগের তিক্ত স্মৃতি কি এখনও তাড়া করছে কোহলিকে। ওয়ানডের অধিনায়ক পদ থেকে কোহলিকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকেই দুজনের সম্পর্কের অবনতির সূত্রপাত। সৌরভের দাবি ছিল, টি২০ নেতৃত্ব ছাড়ার আগে বোর্ডের তরফে কোহলিকে অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তবে কোহলিই নাকি তাতে সাড়া দেননি। সৌরভের এই বক্তব্যের পাল্টা কোহলিই জানিয়ে দিয়েছিলেন, বোর্ডের কাছ থেকে তাঁর কাছে অন্তত এরকম কোনও অনুরোধ আসেনি।
তার পরে আচমকা কোহলিকে ওয়ানডের অধিনায়কত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। পাল্টা কোহলি দক্ষিণ আফ্রিকার গিয়ে প্ৰথম টেস্টের পরেই লাল বলের ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব থেকে অব্যাহতি নেন। সেই ক্ষতের দাগ যে কোহলির মননে এখনও বিরাজমান, তা সৌরভের জন্মদিনে উইশ না করার ঘটনাতেই স্পষ্ট।
আরও পড়ুন: চ্যাপেলকে কোচ করাই কি কাল হয়েছিল! ৫০তম জন্মদিনে বিষ্ফোরক সৌরভ
ঘটনা হল, কোহলি এই মুহূর্তে ব্যাপক চাপে রয়েছেন নবাগত ক্রিকেটাররা পারফর্ম করতে থাকায়। তিনি নিজে গত তিন বছর ধরে অফ ফর্মের শিকার। সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন সেই ২০১৯-এ। টানা অফফর্মের শিকার কোহলিকে ইতিমধ্যেই জাতীয় দল থেকে বাদ দেওয়ার দাবি উঠে গিয়েছে। বলা হচ্ছে, চলতি ভারত-ইংল্যান্ড সীমিত ওভারের সিরিজ কোহলির কেরিয়ারের অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ব্যর্থ হওয়া মানে নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় টি২০ বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া অনেকটাই অনিশ্চয়তার মধ্যে চলে যাওয়া।
সীমিত ওভারের কেরিয়ার খতম হওয়ার পরে টেস্ট থেকেও যে এরপরে বাদ দেওয়ার দাবি আসবে না, এরকম কোনও নিশ্চয়তা নেই।