সম্প্রতি ধোনির সঙ্গে সৌরভের এক ছবি নিয়ে উত্তাল হয়েছিল ক্রিকেট দুনিয়া। হোটেল রুমে একান্তে দেখা গিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা দুই ক্যাপ্টেনকে। সোমবার সৌরভ আমন্ত্রিত ছিলেন স্পোর্টসস্টার ইস্ট স্পোর্টস কনক্লেভ-এ। সেখানেই তিনি ধোনিকে প্রশংসার ডালি উপুড় করে দেন।
মহারাজ জানিয়েছেন, “ধোনির কথা যখন বলা হয়, তখন স্রেফ কটা ম্যাচ খেলেছে, তা বিচার্য হয় না। দেশের ক্রিকেটে ওঁর প্রভাবও আলোচ্য হয়। কয়েকদিন আগেই ধোনির সঙ্গে মুম্বইয়ে দেখা হয়েছিল। আমরা দুজনেই শ্যুটিং করছিলাম। ও একজন প্রকৃত চ্যাম্পিয়ন।”
“যেখান থেকে আগে কোনও ক্রিকেটারই কার্যত উঠে আসেনি, সেই রাঁচি থেকেই ওয়ার্ল্ড কাপ জয়ী হওয়া- ও সর্বকালের সেরাদের অন্যতম। ভেবে ভালো লাগছে যে দেশের সফলতম দুই ক্যাপ্টেন যেখান থেকে এসেছেন, সেখানে ক্রিকেট নাকি দেশের অন্য জায়গার থেকে পিছিয়ে, এমনটাই ভাবা হত। ও আসলে নিজের চারপাশের একটা প্রজন্মকে বিশ্বাস করতে পেরেছিল যে তাঁরাও চ্যাম্পিয়ন হতে পারে। এখন ঈশান কিষানকেই দেখা হোক, যেভাবে ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলছে!”
ভারতীয় ক্রিকেটে তর্কাতীতভাবে সেরার সেরা দুই ক্যাপ্টেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং ধোনি। বিরাট কোহলিও নেতা হিসেবে বেশ সফল। যাইহোক, ধোনি সিএসকে ফ্র্যাঞ্চাইজির নেতৃত্ব দেবেন আসন্ন আইপিএলে। ২০২২ সিজনে সিএসকের ক্যাপ্টেন ঘোষণা করা হয়েছিল রবীন্দ্র জাদেজাকে। তবে মরসুমের মাঝপথেই জাদেজাকে সরিয়ে পুনরায় ধোনিকে ক্যাপ্টেন করা হয়।
গত বছর ১০ দলের টুর্নামেন্টে সিএসকে নবম স্থানে ফিনিশ করে। ব্যর্থতার পাহাড়ের মধ্যে ধোনি গত আইপিএলের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে খেলতে নামার সমর্থকদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলে দিয়েছিলেন, “পরের সিজনে মোটেই এরকম হবে না। একদম প্ৰথম থেকে শুরু করার মত বিষয় হবে।”
ধোনির নেতৃত্বের মিদাস টাচ পুনরায় সাফল্যের সরণিতে ফিরিয়ে আনবে সিএসকেকে, এমনটাই আশা টিম ম্যানেজমেন্টকে। গত ডিসেম্বরে কোচিতে মিনি নিলাম থেকে সিএসকে ১৬.২৫ কোটি টাকা খরচ করে কিনেছে বেন স্টোকস। ইংরেজ তারকার সংযোজন চেন্নাইকে যে আরও শক্তিশালী করেছে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই।
অন্যদিকে, সূত্রের খবর, সৌরভ দিল্লি ক্যাপিটালস ফ্র্যাঞ্চাইজিতে ক্রিকেট ডিরেক্টর হিসাবে যোগ দিয়েছেন। ২০১৯ সিজনে সৌরভ মেন্টর হিসাবে রাজধানী শহরের ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বোর্ড সভাপতি হিসেবে সৌরভের জমানা শেষের পরে তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। সৌরভের পরে বোর্ড সভাপতি হয়েছেন রজার বিনি।
Read the full article in ENGLISH