ভীষণ অলস ছিলেন। সবসময় কোল্ড ড্রিংকস পান করতেন। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নাকি এমনই ছিলেন। জানিয়ে দিলেন অশোক মালহোত্রা। ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। দেশকে বহু সাফল্য এনে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কীর্তিকে এখনও কুর্নিশ করে ক্রিকেট প্রেমী জনতা।
সেই সৌরভ যখন হঠাৎ করেই ভারতীয় ক্রিকেটে সিনিয়র হয়ে যান, সেই সময় বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ এর সম্মুখীন হন। নব্বইয়ের দশকে সৌরভ যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখলেন, সেই সময় পূর্বাঞ্চলের নির্বাচক ছিলেন অশোক মালহোত্রা। তিনিই এদিন সৌরভের উত্থান নিয়ে জানালেন ফেসবুক লাইভে।
স্পোর্টসক্রীড়ার লাইভে অশোক মালহোত্রা জানালেন, "ওকে যখন আমরা সহ অধিনায়ক হিসেবে বাছলাম, সেই সময় ওকে নিয়ে কোচের বক্তব্য ছিল- ও খুব বেশি কোক পান করে। সিঙ্গলস নেয়, কিন্তু দুই রান নেয় না।"
সৌরভের হয়ে ব্যাট ধরে অশোক মালহোত্রাও জানিয়ে দেন, "একটা থাম্বস আপ নেওয়া মানে সহ অধিনায়কত্ব হতে পারবে না, এমনটা হয় না। এরপর ওঁকে নিয়ে আমাদের লম্বা বৈঠক হল। সৌরভের ভাইস ক্যাপ্টেন্সির হয়ে ৩-২ ভোট পড়েছিল। কিন্তু তারপরেই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট সরাসরি হস্তক্ষেপ করেন। আমি নাম বলছি না, তবে এমন কাণ্ড বিসিইসিআইয়ের ইতিহাসে কখনো ঘটেনি। চেয়ারম্যান বলেছিলেন, "এসো, আবার নতুন করে কিছু চিন্তাভাবনা করা যাক।"
এরপরেই ভারতীয় ক্রিকেট শুরু হবে মহারাজ অধ্যায় ২০০০ সাল থেকে। ক্যাপটেন হয়ে দেশের ক্রিকেটের মানচিত্রটাই বদলে দেবেন তিনি। জন রাইট কোচ থাকাকালীন একবার একটা ট্যুরে যেতে পারেননি কিউই কোচ। সেই সময় অন্তর্বর্তীকালীন কোচের ভূমিকাও পালন করেন অশোক মালহোত্রা।
মালহোত্রা জানালেন, শচীন যখন নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ান, সেই সময় তিনি ওভারটাইম খেটেছিলেন, যাতে সৌরভ অধিনায়ক হতে পারেন। "আমরা কেউই জানতাম না সৌরভকেই নেতা বাছা হবে। কারণ সেই সময় সচিন ক্যাপ্টেন ছিলেন। তবে একবার শচীন সরে দাঁড়াতেই আমরা সবাইকে বোঝাই সৌরভকেই যাতে অধিনায়ক করা হয়। অনিল কুম্বলে ও অজয় জাদেজাও নেতৃত্বের দাবিদার ছিল, সসি কারণেই আমি ওভারটাইম খেটেছিলাম।"