সামনেই বিশ্বকাপ। গোটা দেশ জুড়েই উত্তেজনার আবহ। প্রশাসন থেকে তিনি আপাতত দূরে। তবে সিএবির তরফে বিশ্বকাপের আয়োজক কমিটির গুরত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন তিনি। তবে এসব কর্মকান্ড থেকে আপাতত দূরে সরে যাচ্ছেন। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আপাতত পারিবারিক সুখবরের ঘোরে রয়েছেন। স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হলেন কন্যা সানা। ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ লন্ডনে স্নাতক স্তরে অর্থনীতিতে ভর্তি হয়েছিলেন ২০১৯-এ। তারপর কেটে গিয়েছে চার-চারটে বছর।
কলকাতা ছেড়ে গত চার বছর লন্ডনেই থাকতেন সানা। সৌরভের নিজস্ব বাড়িও রয়েছে লন্ডনে। এরপরে কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক বছর। করোনা অতিমারীর সময় পেরিয়েছে। সবশেষে এবার সানা কিংবদন্তি পিতাকে সুখবর এনে দিলেন।
কন্যা সানার কনভোকেশন-এ হাজির থাকতে সৌরভ এবার উড়ে গেলেন লন্ডনে। ৬ সেপ্টেম্বর হবে সমাবর্তন অনুষ্ঠান। সেই ইভেন্টে উজ্বল উপস্থিতি থাকবে প্রিন্স অফ ক্যালকাটার। লন্ডনে আগেই চলে গিয়েছিলেন স্ত্রী ডোনাও। সানার বিশেষদিনে পাশে থাকবেন দুজনেই।
সৌরভ নিজের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের সঙ্গে নিজের ৫০তম জন্মদিন পালন করেছিলেন লন্ডনে। সৌরভের নিজের জন্মদিন উদযাপনের ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার ফের একবার কন্যার জন্য পাড়ি দিলেন লন্ডনে। থাকবেন সপ্তাহ তিনেক। কনভোকেশনের পর কয়েকদিন পারিবারিক ছুটি কাটিয়ে শেষমেশ কলকাতায় ফিরবেন তিনি। কলকাতায় ফিরেই কাজের জগতে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন তিনি। দাদাগিরি শুটিং যেমন রয়েছে, তেমন সিএবি বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগ দেবেন। তারপর বিশ্বকাপের সময় হিন্দিতে কমেন্ট্রি করবেন তিনি।
পিতার বিপুল সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও সানা লন্ডনে পড়াশুনা করতে গিয়ে একাধিক ইন্টার্নশিপ করেছেন। কলকাতার লরেটো হাউস স্কুল থেকে শিক্ষা সম্পন্ন করেছিলেন সানা। এরপরে অবশ্য
একাধিক কোম্পানি থেকে ইন্টার্নশিপ করেছিলেন। এইচএসবিসি, গোল্ডম্যান স্যাচস, বার্কলে, আইসিআইসিআই-য়ের মত কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপ করেছেন। এমনকি লন্ডন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে এন্যাক্সটাস-এ পূর্ণ সময়ের চাকরিও করেছেন
একাধিক জাতীয় স্তরে প্রচারমাধ্যমে। গত জুনে সানা ইন্টার্নশিপ করছেন ডেলয়েট কোম্পানিতে। যেখানে বার্ষিক প্যাকেজ ৫-১২ লক্ষ। এই গুণবতী কন্যার জন্য সৌরভ যে গর্বিত হবেন, এ আর আশ্চর্য কী!