Advertisment

'দেশ আগে': রঞ্জি ফাইনালে খেলতে পারবেন না 'স্যার' জাদেজা, জানাল বোর্ড

বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে জাদেজাকে খেলানোর অনুমতি চান সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তথা সৌরাষ্ট্রের প্রাক্তন অধিনায়ক জয়দেব শাহ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
ravindra jadeja ranji trophy final

রবীন্দ্র জাদেজা, ফাইল ছবি

আগামী ৯ মার্চ থেকে অনুষ্ঠেয় বাংলা বনাম সৌরাষ্ট্রের রঞ্জি ট্রফি ফাইনালে সৌরাষ্ট্রের হয়ে খেলতে পারবেন না রবীন্দ্র জাদেজা। 'দেশ আগে' নীতি অনুসারে জাদেজাকে খেলানোর সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। ফাইনালে সৌরাষ্ট্রের হয়ে খেলবেন চেতেশ্বর পূজারা, এবং বাংলার হয়ে মাঠে নামবেন ঋদ্ধিমান সাহা। দুজনেই রাষ্ট্রীয় দলের সদস্য, কিন্তু জাদেজার ক্ষেত্রে তফাৎ হলো যে তিনি ১২ মার্চ ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা একদিনের ম্যাচও খেলবেন, সুতরাং রঞ্জি ফাইনালে খেলার ছাড়পত্র তিনি পেতে পারেন না।

Advertisment

বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে জাদেজাকে খেলানোর অনুমতি চান সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তথা সৌরাষ্ট্রের প্রাক্তন অধিনায়ক জয়দেব শাহ। তিনি বলছেন, "আমি ওঁর (সৌরভের) সঙ্গে কথা বলি, কিন্তু আমাকে বলা হয় যে দেশ আগে, তাই জাদেজাকে রঞ্জি খেলার অনুমতি দেওয়া হবে না।" তাঁর আরও বক্তব্য, রঞ্জি ট্রফির মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘরোয়া টুর্নামেন্ট চলাকালীন আন্তর্জাতিক কোনও ম্যাচই অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত নয়। এ ব্যাপারে আইপিএল সম্পর্কে বোর্ডের নীতির প্রসঙ্গও তুলে আনেন তিনি।

আরও পড়ুন: রঞ্জি ফাইনালে বাংলার প্রতিপক্ষ সৌরাষ্ট্র ঠিক কতটা শক্তিশালী?

"বিসিসিআই যদি চায় যে দর্শক ঘরোয়া ক্রিকেটের দিকে আকৃষ্ট হন, তাহলে তাদের অনুরোধ করব, এরপর থেকে আর রঞ্জি ফাইনাল চলাকালীন কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ রাখবেন না। আইপিএল চলাকালীন কি আন্তর্জাতিক ম্যাচ রাখবে বিসিসিআই? না, কারণ সেখান থেকে টাকা আসে। রঞ্জি ট্রফিকে তখনই জনপ্রিয় করা যাবে, যখন অন্তত ফাইনালে কিছু তারকা খেলোয়াড়কে পাওয়া যাবে। তাই ফাইনালের সময় আন্তর্জাতিক ম্যাচ করাবেন না, ঠিকঠাক সূচী তৈরি করুন।"

শাহ আরও বলেন, "আমি খুব খুশি হতাম যদি জাদেজা আমাদের হয়ে রঞ্জি ট্রফি ফাইনাল খেলতে পারত। শুধু জাদেজা কেন, (বাংলার হয়ে) মহম্মদ শামি খেলতে পারলেও খুব খুশি হতাম।" গত আট বছরে এই নিয়ে চারবার রঞ্জি ফাইনালে উঠল সৌরাষ্ট্র, এবং শাহের মতে, জাদেজা খেলতে পারলে দলের বিরাট উপকার হতো। অন্যদিকে, ১৩ বছর পর ফের একবার রঞ্জি ফাইনালে উঠল বাংলা। উল্লেখ্য, ১৯৮৯-৯০ সিজনের পর আর ফাইনালে জেতা হয় নি বাংলার।

আরও পড়ুন: রঞ্জি ফাইনালে বাংলার শক্তি বাড়াবেন ঋদ্ধিমান

ঘরের যে মাঠে গুজরাটকে সেমি-ফাইনালে ৯১ রানে হারায় সৌরাষ্ট্র, সেই রাজকোটের মাঠেই হবে ফাইনাল। এই প্রথম নিজেদের মাঠে ফাইনাল খেলবে সৌরাষ্ট্র। গত বছর বিদর্ভের কাছে নাগপুরে হেরে যায় তারা।

বলা বাহুল্য, চেতেশ্বর পূজারা যে অন্তত ফাইনালে খেলতে পারছেন, তাতে খুবই খুশি সৌরাষ্ট্রের অধিনায়ক জয়দেব উনাদকাট। তাঁর কথায়, "ও যতদিন নিউজিল্যান্ডে ছিল, ততদিন চিন্টুর (পূজারা) সঙ্গে আগাগোড়া যোগাযোগ রাখি আমি। দলের জন্য আমি যতটা ভাবি, ততটাই ও ভাবে। আমরা যখন সেমি-ফাইনাল জিতি, তখন ও নিউজিল্যান্ড থেকে ফিরতি ফ্লাইটে। আমাদের টপ অর্ডার খুব একটা রান পাচ্ছে না, কাজেই ও আসায় অনেকটাই উন্নতি হবে। চিন্টু দলে থাকলেই আমাদের খেলা পাল্টে যায়। ওর উপস্থিতি ভরসা আর আত্মবিশ্বাস যোগায়।"

Ranji Trophy
Advertisment