বোর্ড থেকে সরতে হবে। ঠিক হয়ে গিয়েছে মঙ্গলবার রাতেই। বোর্ডের নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে। কার্যত মাথা নিচু করে বোর্ডের অন্দরমহল থেকে প্রস্থান ঘটতে চলেছে। আসন্ন ১৮ অক্টোবর সরকারিভাবে বোর্ডের তরফে এজিএম-এ। সৌরভের বদলে রজার বিনির হাতে সভাপতির চেয়ার তুলে দেওয়া হবে।
গত কয়েকদিন ধরেই জল্পনা তুঙ্গে উঠেছিল সৌরভের আসন্ন ভবিষ্যৎ ঘিরে। বলা হচ্ছিল বোর্ডেই চেয়ার ছেড়ে দেওয়ার পরে বিসিসিআইয়ের ব্যাকিংয়ে তিনি আইসিসি চেয়ারম্যান পদের জন্য মনোনয়ন জমা দেবেন। তবে বোর্ড সূত্রের খবর, বোর্ডের তরফে সৌরভকে আইপিএল চেয়ারম্যান হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। যা তিনি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বোর্ডের শীর্ষপদে থাকার পরে সেই সংস্থারই অধীনস্থ কোনও কমিটির প্রধান হতে চাননি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইসিসি চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য মনোনয়ন জমা দিলে বিসিসিআই ব্যাকিং করবে না।
আরও পড়ুন: কোহলির ‘অভিশাপেই’ কি বোর্ডে ‘অপমানিত’ সৌরভ! লাগামছাড়া উল্লাস বিরাট-ভক্তদের
আর গোটা ঘটনাপ্রবাহে চূড়ান্ত হতাশ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সংবাদসংস্থা-কে বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, "স্পষ্টতই সৌরভকে ভেঙে পড়া, বিধ্বস্ত, হতাশ লাগছিল।"
মঙ্গলবার বোর্ডের সভার শেষে সৌরভই অফিস থেকে একদম শেষে বের হন। তারপরে গাড়ির কাঁচ উঠিয়ে বেরিয়ে যান। সেই বৈঠকেই সৌরভের সভাপতিত্ব থাকাকালীন পর্বকে ভীষণভাবে সমালোচনা করা হয়। বলা হয়েছে, বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে আন্ডার-পারফর্ম করেছেন তিনি। যেভাবে বোর্ডের স্পনসর সংস্থার বিরোধী কোম্পানির হয়ে সৌরভ এন্ডোর্সমেন্টে জড়িয়েছেন- তাতেও তীব্র সমালোচনা করা হয়। সৌরভ চেয়েছিলেন তাঁকেই বোর্ডের সভাপতি হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে দেওয়া হোক। অথবা তাঁকে আইসিসিতে পাঠাক বোর্ড। তবে বিসিসিআই সৌরভকে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিতে চায়নি।
আরও পড়ুন: সৌরভের ইচ্ছাপূরণ হল না! বাঙালি কিংবদন্তিকে কোনও সমর্থন নয় BCCI-এর
ক্রিকবাজ-এর প্রতিবেদনের খবর অনুযায়ী, মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে বোর্ডের মিটিংয়েই বোর্ডের মেম্বাররা সৌরভকে তাঁর কর্মপন্থা নিয়ে সরাসরি তুলোধনা করেন। বলা হয়, প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে পারেননি তিনি। যদিও বোর্ডের তরফে দাবি করা হয়, দুটো টার্মে সভাপতি হওয়ার নজির নেই, তাই সরতে হচ্ছে মহারাজকে। জানা গিয়েছে, সৌরভের প্রধান সমালোচক হিসাবে আবির্ভূত হয়েছেন বোর্ডের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এন শ্রীনিবাসন।
বাইশ গজে থাকার সময় ব্যাটে-বলে টাইমিংয়ের জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন মহারাজ। 'বাপি বাড়ি যা' ঢংয়ে বহু বল উড়িয়েছেন মাঠের বাইরে। তবে এবার ব্যাটে-বলে কানেকশনটা সেরকম জোরদার হল না।