শুধু মাঠ নয়। মাঠের বাইরেও তিনি নেতা। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পছন্দ করেন। তাই এবার কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এবার ক্যাপ্টেনের ভূমিকায় ফের একবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। করোনার যুদ্ধে তিনি এবার শহরের একাধিক হাসপাতালে ৫০টি কনসেনট্রেটর দান করছেন।
শনিবার থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় হাসপাতাল এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের জন্য কনসেনট্রেটর বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে। রবিবার থেকেই রাজ্যে লকডাউন। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যাবশকীয় পরিষেবা এবং কর্মকান্ড বাদ দিয়ে লকডাউনের চাদরে মুড়ে ফেলা হচ্ছে গোটা রাজ্যকে। তাই তড়িঘড়ি এই কনসেনট্রেটর বিতরণের কাজ শুরু করা হয়েছে সৌরভের কলকাতার অফিস থেকে।
আরো পড়ুন: জাতীয় দলে রাজনীতি! অভিযোগে সৌরভকে সোজা নালিশ কোচের, চিঠি গেল দ্রাবিড়ের কাছেও
স্থানীয় এক প্রচারমাধ্যম-কে সৌরভের অন্যতম সহকারী তানিয়া ভট্টাচার্য বলেছেন, "দাদা একটি সংস্থার কাছ থেকে ৫০টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর কিনেছেন। এবার সেগুলি দান করা হচ্ছে। আপাতত আমরা ৫০টি কনসেনট্রেটর বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হাতে তুলে দিচ্ছি। এরপর আবার আনিয়ে আবার বিভিন্ন জায়গায় দান করা হবে।"
শনিবারই সৌরভের অফিস থেকে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতাল এবং রাজারহাটের একটি অক্সিজেন পার্লারে দুজোড়া কনসেনট্রেটর দান করা হয়েছে। তানিয়া আরো জানিয়েছেন, হুগলির চুচুড়ার অক্সিজেন অন হুইলে দুটো কনসেনট্রেটর পাঠানো হয়েছে, যেখানে গাড়ি করে অক্সিজেন পরিষেবা চালু রাখা হয়েছে। এছাড়াও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিঃসঙ্গ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সাহায্যার্থে কাজ করছে। তাদের হাতেও কনসেনট্রেটর তুলে দেওয়া হয়েছে।
শারীরিকভাবে সমস্যা রয়েছে সৌরভেরও। কিছুদিন আগেই হার্টে ব্লকেজ ধরা পড়েছিল তাঁর। তারপর জোড়া অস্ত্রোপচার সারতে হয়েছে। বাড়িতেই রয়েছেন আপাতত। তিনি নিজে বেরোতে না পারলেও তাঁর দলের সহযোগীরা এই বিপদের মুহূর্তে দাদার সাহায্য নিয়ে হাজির শহরের একাধিক প্রান্তে। সৌরভ সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, "আমাদের আরও বেশি মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। যত বেশি সম্ভব হাসপাতালের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।"
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারত। প্রতিদিন লাখো লাখো মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন মারণ ভাইরাসে। এর মধ্যেই বিরাট কোহলি, শিখর ধাওয়ান, হনুমা বিহারি সহ জাতীয় দলের প্রায় প্রত্যেক তারকাই এগিয়ে এসেছেন সাহায্যের জন্য। আর সেই তালিকায় নাম তুলে ফেললেন কলকাতার মহারাজও।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন