২৪ ঘন্টা আগেই ৩৯ তম জন্মদিন পালন করেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। সেই জন্মদিনের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ৪৮ তম জন্মদিন সৌরভের। ভারতীয় ক্রিকেটের একচ্ছত্র সর্বাধিনায়ক বর্তমানে তিনিই। বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভের জন্মদিনে তাই উপচে পড়ছে শুভেচ্ছা বক্স। সোশ্যাল মিডিয়ায় জন্মদিনে ট্রেন্ডিং সৌরভ।
প্রিয় অধিনায়ককে সম্মান জানাতে এবার তাই ভিডিও পোস্ট করলেন যুবরাজ সিং। সৌরভের নেতৃত্বেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক। তারপর নিজেকে অবিস্মরণীয় উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন যুবরাজ সিং। দেশটি সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারের ভূমিকাকে নিজেকে তুলে ধরেছেন। ২০০৭ এবং ২০১১ জোড়া বিশ্বকাপ জয়ের নেপথ্যে যুবরাজের অতিমানবীয় পারফরম্যান্স। দেশের অন্যতম সেরা ম্যাচ উইনারও যুবি।
সেই যুবিই এদিন ভিডিও পোস্ট করে সৌরভের সঙ্গে নিজের সখ্যতার কথা জানালেন ভক্তদের। প্রথমে শুভেচ্ছা জানিয়ে যুবরাজ লেখেন, "ভারতীয় ক্রিকেটের অবিসংবাদী দাদাকে হ্যাপি বার্থডে। তুমি সবসময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছ। দেখিয়ে দিয়েছ, নেতা কাকে বলে! তোমার থেকে ব্যক্তিগতভাবে অনেক শিখেছি। তুমি আমার কাছে যে অনুপ্রেরণা তা অন্যদের প্রতি আমি হওয়ার চেষ্টা করে যাব।"
দাদাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়ে যুবরাজ আরো বলেছেন, "এই বার্তা আমার প্রিয় দাদার জন্য। দাদা তুমি আমাদের চিরন্তন অধিনায়ক। তুমি সবসময় তরুণদের উৎসাহিত করে এসেছো। আমার মনে আছে তুমি যখন বিসিসিআইয়ের একনলেজমেন্ট ট্রফি আমাকে ধরতে দিয়েছিলে।"
খেলোয়াড়ি জীবনে যুবরাজ, হরভজন, বীরেন্দ্র শেওয়াগরা প্র্যাংক করতেন সৌরভের সঙ্গে। এমনই একটি ঘটনার কথা শেয়ার করেছেন যুবি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলার আগের দিনের ঘটনা। সেই সময় এপ্রিল ফুল দিনের আগেই ফেক টাইমস অফ ইন্ডিয়া ফ্রন্টপেজ তৈরি করেন সবাই। সেখানেই সৌরভের নামে নকল কোটেশন বসান হরভজন। তা দেখার পর সৌরভের বক্তব্য ছিল, "যদি মাই এমন কিছু বলে থাকি, তাহলে পদত্যাগ করব।"
তবে সৌরভকে শেষ পর্যন্ত সত্যিটা জানান রাহুল দ্রাবিড়। পিঠে চাপর মেরে ভাজ্জি জানানজ গোটাটাই মজা করে বানানো। সৌরভ জানতেন এরকম দুস্টুমি কে করতে পারে! তাই সরাসরি দৌঁড়ে ধরতে যান যুবি-ভাজ্জিকে।
প্রিয় অধিনায়কের জন্মদিনে যুবরাজ এনেছেন সেই বিখ্যাত ন্যাটওয়েস্ট সিরিজের ঘটনাও। জানিয়েছেন, "২০০২ এ তো তুমি লর্ডসে জামাটাই খুলে ফেলেছিলে। আগে কখনো কোনো ক্রিকেটারকে দেখিনি এরকম শরীর নিয়ে জামা খুলতে। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে আগে কখনো এভাবে শরীর দেখাওনি। আমার মনে আছে আশুও তোমার দেখাদেখি জামা খুলতে চেয়েছিল। তবে তাঁকে নিরস্ত্র করেন দ্রাবিড়।"