তাঁর বিরুদ্ধে স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ উঠেছে। সিএবি প্রেসিডেন্ট হয়েও তিনি কীভাবে আইপিএল-এর একটি ফ্র্যঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত হলেন? এমন প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বক্তব্য কী, জানার জন্যই এবার বোর্ডের তরফে চিঠি পাঠানো হল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। সাত দিনের মধ্যে তাঁর বক্তব্য জানতে চেয়েছেন বোর্ডের অম্বাডসম্যান ডি কে জৈন। এক সংবাদ সংস্থাকে তিনি জানান, "দিল্লি ক্যাপিটালসের পরামর্শদাতা এবং রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি হিসেবে স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ ওঠার পরে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য জানতে চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ওঁকে সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে।"
আরও পড়ুন: পৃথ্বীতে মুগ্ধ সৌরভ, বাছলেন টুর্নামেন্টের সেরা বল
চলতি মাসের ১২ তারিখেই ইডেন গার্ডেন্সে মুখোমুখি হবে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) এবং দিল্লি ক্যাপিটালস। সেই ম্যাচে দিল্লির ডাগ আউটে সৌরভের সম্ভাব্য উপস্থিতি নিয়েই তিন ক্রিকেটপ্রেমী ভাস্বতী সান্তুয়া, রঞ্জিৎ শীল এবং অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন। যদিও বোর্ডের অম্বাডসম্যান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও নির্দিষ্ট ম্যাচের জন্য নয়, বরং সামগ্রিকভাবে তাঁর ভূমিকা নিয়েই বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছে সৌরভের। ডিকে জৈন জানিয়েছেন, "কোনও নির্দিষ্ট ম্যাচের পরিপ্রেক্ষিতে নয়, সৌরভের দায়িত্ব জানতে চেয়েই চিঠি দেওয়া হয়েছে।"
একইসঙ্গে সিএবি-র সভাপতি এবং দিল্লি ক্যাপিটালস-এর উপদেষ্টার জোড়া ভূমিকায় থাকায় বোর্ডের সংবিধানের ৩৮ (৮) ধারা লঙ্ঘন করেছেন তিনি। কারণ সেই ধারা অনুযায়ী, কোনও অবস্থাতেই কোনও ব্যক্তি এই ধরনের দ্বৈত ভূমিকা পালন করতে পারেন না।
সৌরভের বক্তব্য আপাতত কী হতে চলেছে, তা নিয়েই শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা। কোথাকার জল এখন কোথায় গড়ায়, সেটাই দেখার।