আইপিএলে স্বার্থের সংঘাতের ইস্যুকে স্ট্রেইট ব্য়াটে ওড়ালেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়। সিএবি প্রেসিডেন্ট হয়েও তিনি কীভাবে আইপিএলের একটি ফ্র্যঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত হলেন? এই প্রশ্নই উঠেছে দিল্লি ক্যাপিটালসের মেন্টরের বিরুদ্ধে। এই মর্মেই গত বুধবার বিসিসিআইয়ের অম্বুডসম্যান ডিকে জৈন সৌরভের বক্তব্য জানতে চেয়ে তাঁকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সাত দিনের মধ্যেই উত্তর দিতে বলা হয়েছিল রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার সভাপতিকে। সৌরভ চিঠিতে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বিসিসিআইয়ের অ্যাপেক্স কাউন্সিল বা কোন ক্রিকেট বোর্ড কমিটির সঙ্গে যুক্ত নন। পাশাপাশি সৌরভ পরিস্কার বলে দিয়েছেন যে, তিনি কোনও ভাবেই কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গেও জড়িত নন।
চলতি সপ্তাহের শুক্রবার ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতার মুখোমুখি দিল্লি। এই ম্যাচে দিল্লির ডাগ আউটে সৌরভের সম্ভাব্য উপস্থিতি নিয়েই তিন ক্রিকেটপ্রেমী ভাস্বতী সান্তুয়া, রঞ্জিৎ শীল এবং অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন। যদিও বোর্ডের অম্বাডসম্যান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোনও নির্দিষ্ট ম্যাচের জন্য নয়, বরং সামগ্রিকভাবে সৌরভের ভূমিকা নিয়েই বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছিল সৌরভের। একইসঙ্গে সিএবি-র সভাপতি এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের উপদেষ্টার জোড়া ভূমিকায় থাকায় বোর্ডের সংবিধানের ৩৮ (৮) ধারা লঙ্ঘন করেছেন তিনি। কারণ সেই ধারা অনুযায়ী, কোনও অবস্থাতেই কোনও ব্যক্তি এই ধরনের দ্বৈত ভূমিকা পালন করতে পারেন না।
আরও পড়ুন: IPL 2019: সৌরভ কি আইন ভাঙছেন? বোর্ডের বক্তব্য এবার পরিষ্কার
সৌরভ চিঠিতে লিখেছেন. “এই মুহূর্তে আমি বিসিসিআইয়ের কোনও পদে নেই, অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সঙ্গেও যুক্ত নই। বিসিসিআইয়ের অধীনস্থ কোনও ক্রিকেট কমিটির সদস্য নই। আইপিএল প্রশাসন, তার ম্য়ানেজমেন্ট কিংবা টুর্নামেন্ট সংক্রান্ত কোনও কমিটির সঙ্গেও আমার সম্পর্ক নেই। অতীতে বিসিসিআই ও আইপিএলের টেকনিক্যাল কমিটি ছাড়াও গর্ভনিং কাউন্সিলে ছিলাম। সেই সব কমিটি থেকে আমি পুরোপুরি সরে গিয়েছি কিম্বা ইস্তফা দিয়েছি। পাশাপাশি আরও একটা কথা বলতে চাই, কেকেআর একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি টিম। যার মালিক রেড চিলিজ এন্টারটেইন্টমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড। যারা ১৯৫৬ সালের কোম্পানিজ অ্যাক্টে নথিভুক্ত। আমি রেড চিলিজের শেয়ারহোল্ডার নই, সংস্থার মালিকও নেই। রেড চিলিজে কোনও অংশীদারিত্বও নেই আমার। শুধু মাঝের কয়েকটা বছর আমি কেকেআরের হয়ে আইপিএল এক থেকে আইপিএল তিন খেলেছি। এছাড়া এদের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই।”
Read full stories in English