রবিবারেই সিরিজ নির্ণায়ক লড়াইয়ে খেলতে নামছে ভারত-বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের আগেই স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগে আরও একবার বিদ্ধ হলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। নিজের টুইটারে ফ্যান্টাসি ক্রিকেট লিগ প্রমোট করে বিতর্কে জড়ালেন তিনি।
শুক্রবার সৌরভ টুইট করে লিখলেন, "ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ চরম উত্তেজক হয়ে উঠেছে। সিরিজ আপাতত সমতা ফিরে আসায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। ভারত কি নিজেদের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখবে নাকি বাংলাদেশ ফিরে আসবে? আমার দলকে হারাও মাই ১১ সার্কেল-এ এবং বড়সড় পুরস্কার পাও। তোমার দল তুমি নিজেই গড়ে ফেল।"
সৌরভের এমন টুইটের পরেই ক্রিকেট মহলের চোখ কপালে। কারণ বর্তমানে সৌরভ বোর্ড সভাপতি। এমন প্রমোশনাল টুইট নিঃসন্দেহে স্বার্থ সংঘাতের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
ঘটনাচক্রে, সৌরভের বিরুদ্ধে অ্যাম্বুশ মার্কেটিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। কারণ সৌরভের প্রমোট করা ফ্যান্টাসি ক্রিকেট লিগের প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থা ড্রিম ইলেভেন বিসিসিআইয়ের সঙ্গে চার বছরের চুক্তিবদ্ধ। আইপিএলের অফিসিয়াল পার্টনারও এই সংস্থা। তাঁরই প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থার হয়ে কীভাবে বোর্ড সভাপতি প্রমোশনাল টুইট করলেন, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।
ঘটনাচক্রে, ড্রিম ইলেভেন ও ফ্যান্টাসি ক্রিকেট লিগ- দুটোই অনলাইন বেটিং সংস্থা। অনলাইনে নিজের দল তৈরি করে খেলা সম্ভব। জয়-পরাজয়ের ভিত্তিতে নগদ টাকারও ব্যবস্থা রয়েছে। অনলাইন এই টুর্নামেন্ট বেশ কিছু ক্যাটেগরিতে বিভক্ত। পুরস্কার মূল্য নির্ভর করে প্রতিযোগিতার ধরণের উপরে।
ঘটনা হল, বর্তমানে সৌরভ নিজে বোর্ড সভাপতি। তিনি নিজের দল তৈরি করে নিচ্ছেন। এই বিষয়টিই বর্তমান জাতীয় দল নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। ধরা যাক, সৌরভ নিজের একাদশে ঋষভ পন্থকে বাদ দিয়ে মুশফিকুর রহিমকে রাখলে, পন্থ আরও চাপের মধ্যে পড়ে যেতে পারেন।
বর্তমানে স্বার্থ সংঘাতের বিষয়টি সুপ্রিমকোর্টের বিবেচনাধীন। সুপ্রিমকোর্ট রায় দেওয়ার পূর্বে স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ উঠলে এথিক্স অফিসার নিজের মতামত জানাতে পারেন।
Read the full article in ENGLISH