সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ক্লাইভ লয়েডের মত! একদম জন্মগত লিডার। এমনভাবেই সৌরভের জন্মদিনে মহাতারকাকে প্রশংসায় ভাসিয়ে দিলেন কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত। তিনি জানিয়ে দিলেন, বিদেশের মাটিতে ভারতকে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন সৌরভ।
ক্রিকেট সম্প্রচারক সংস্থা স্টার স্পোর্টস তামিলের 'ক্রিকেট কানেক্টেড' এ এসে বিখ্যাত ক্রিকেটার বলছিলেন, "সৌরভ অতিসক্রিয় ছিলেন। একদম ঠিকঠাকভাবে দলের কম্বিনেশন ঠিক করতে সমর্থ হয়েছিলেন। যেভাবে লয়েড '৭৬ এ ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইনিং কম্বিনেশন সেট করে দেন, সেভাবেই সৌরভ দল সাজিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, ক্রিকেটারদের ভাল খেলার অনুপ্রেরণাও জুগিয়ে গিয়েছেন।"
জাতীয় দলের প্রাক্তন এই ওপেনার আরো বলছিলেন, "এই কারণেই সৌরভ এত সফল নেতা। বিদেশের মাটিতেও ভারত জিততে শুরু করে। সৌরভ একজন বর্ন লিডার!"
সেই একই শো এ শ্রীকান্তকে আবার প্রশংসায় ভরিয়ে দেন জাতীয় দলের প্রাক্তন স্পিনার শিবরামকৃষ্ণন। তিনি বলেন, শ্রীকান্তের মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার সহজাত প্রতিভা ছিল। আরো অনেকদিন দেশের অধিনায়কত্ব করতে পারতেন তিনি।
শিবরামকৃষ্ণন বলছিলেন, "চিকা (কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত) একজন আগ্রাসী অধিনায়ক ছিলেন। দলের হয়ে বেশ সফল হচ্ছিলেন। নেতৃত্বে বেশ আক্রমনাত্মক ছিলেন শ্রীকান্ত।"
১৯৮৯ সালে জাতীয় দলের অধিনায়ক বাছা হয় শ্রীকান্তকে। ঘটনাচক্রে, শ্রীকান্তের অধিনায়কত্বেই অভিষেক ঘটে শচীন তেন্ডুলকরের। ১৯৯০ সালে ভারতের পাকিস্তান সফর পর্যন্ত নেতা ছিলেন বিখ্যাত এই ব্যাটসম্যান। এই সিরিজের পরই ব্যাটিং ব্যর্থতায় ছেঁটে ফেলা হয় তাঁকে।
শিবরামকৃষণ বলেন, "চিকার নেতৃত্বেই অভিষেক ঘটে শচীনের। প্রথম দিকে ওর উৎসাহেই শচীন আত্মবিশ্বাস পেতে শুরু করে। তারপর শচীন বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে। আমাদের দেশে অনেক নামি দামি নেতা ছিলেন। তবে চিকার আরো বেশিদিন জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা ছিল।"
শিবরামকৃষ্ণনকে আবার সাফল্যের দিকে নিয়ে যান সুনীল গাভাস্কার। ১৯৮৫ এর ওয়ার্ল্ড সিরিজের পর প্রচারের চূড়ায় ওঠেন তিনি। সেই কথা স্মরণ করে শিবরামকৃষ্ণন জানান, "গাভাস্কারের ক্যাপ্টেন্সি এবং ম্যান ম্যানেজমেন্ট ক্ষমতা অসাধারন ছিল। আমার তখন মাত্র ১৯ বছর বয়স। পথ দেখানোর কারোর প্রয়োজন ছিল। গাভাস্কার আমাকে তা দিয়েছিলেন।"