সৌরভের সঙ্গে গ্রেগ চ্যাপেলের দ্বৈরথের কথা ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বছরের ওর বছর ধরে। চ্যাপেলের সঙ্গে লড়াইয়ে জড়িয়ে সৌরভ নেতৃত্ব হারান টিম ইন্ডিয়ার। শেষ পর্যন্ত জাতীয় দল থেকেও বাদ পড়েন।
আর তিন দিন পরেই ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু হয়ে যাচ্ছে খাতায় কলমে। বৃহস্পতিবার ভারত পৌঁছে গিয়েছে প্রোটিয়াজ মুলুকে। রবিবার প্ৰথম টি২০-তে নামবে টিম ইন্ডিয়া।
আর দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরুর আগেই দেখে নেওয়া যাক পুরোনো কিছু অধ্যায়। ২০০৬-এ ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছিল না। তাই শেষ পর্যন্ত বাদ পড়ে যাওয়া সৌরভকে আবার ফিরিয়ে আনা হয়। প্রথম ম্যাচেই সৌরভ নিজের জাত চিনিয়ে যান। অবশিষ্ট দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে সৌরভ ৮৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। সৌরভের ব্যাটে ভর করে ভারত সেই ম্যাচ জিতেও যায়।
গোটা সফর জুড়েই সৌরভের ওপর সকলের নজর ছিল। প্ৰথম টেস্টে হেভিওয়েট দক্ষিণ আফ্রিকান বোলিং লাইন আপে ছিলেন মাখায়া এনতিনি, ডেল স্টেইন, শন পোলকরা। জোহানেসবার্গে সেই বোলিং লাইনআপের বিপক্ষেই সৌরভের হার না মানা ৫১ মাতিয়ে দিয়েছিল টেস্ট। সেই টেস্টে ভারতের জয়ে যা অন্যতম ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়।
সেই সিরিজে ভারত শেষ পর্যন্ত ১-২ ব্যবধানে হেরে যায়। তবে সৌরভের ব্যাটিং বিক্রম গোটা সিরিজ জুড়েই চলেছিল। টেস্টে দুর্ধর্ষ কামব্যাক করার পরে সৌরভকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডেকে নেওয়া হয় ওয়ানডে দলেও।
ঝকঝকে আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের সূচনাই ছিল লর্ডসে ঐতিহাসিক শতরানের মাধ্যমে। অধিনায়ক হিসাবে সৌরভ বিদেশে ২৮টি টেস্টের মধ্যে ১১টিতেই জিতেছেন। যে যে কোনও ভারতীয় অধিনায়কের কাছেই রেকর্ড। সবমিলিয়ে ১১৩ টেস্ট এবং ৩১১ ওয়ানডে খেলে সৌরভ করেছেন যথাক্রমে ৭২১৩ এবং ১১,৩৬৩ রান।
গড়াপেটা কাণ্ডে জর্জরিত ভারতীয় দলের দায়িত্ব পেয়েছিলেন মহম্মদ আজহারউদ্দিনের কাছ থেকে। তারপরে দলে আগ্রাসী মনোভাব সঞ্চার করেন। জাতীয় দলকে নতুনভাবে গড়ে তোলার জন্য উঠতি তারকাদের সুযোগ দেওয়ার পথে হাঁটেন তিনি। যুবরাজ সিং, জাহির খান, হরভজন সিং, বীরেন্দ্র শেওয়াগ, আশিস নেহরাদের নিয়ে প্রবল প্রতাপশালী টিম ইন্ডিয়া দল তৈরি করেন।