আইপিএল আয়োজন নিয়ে এবার অনিশ্চয়তার সুর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের গলায়। সরাসরি জানিয়ে দিলেন, আইপিএল এমন পরিস্থিতিতে আয়োজন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
বিশ্বে প্রতিদিনই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গোটা বিশ্বে ইতিমধ্যেই ১ লক্ষের কাছাকাছি লোক মারা গিয়েছেন এই ভাইরাসের কবলে পড়ে। প্রায় ১.৫ মিলিয়নের বেশি লোক এখনও লড়াই করছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে।
এমন অবস্থায় আইপিএল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল। গোটা দেশেই এখন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। লকডাউনের মেয়াদ বাড়তে চলেছে। এমন ইঙ্গিত মিলেছে। তারপরেই আইপিএল নিয়ে আরও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
এমন অবস্থায় চলতি মরশুমে আইপিএল বাতিল করার পক্ষে অনেকে। যদিও বোর্ডের অনেকে আবার সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের উইন্ডোতে দু-একটি সফর বাতিল করে আইপিএল খেলানোর পক্ষপাতী, টি২০ বিশ্বকাপের আগে।
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে এখন বেশ কয়েকমাস সময় লাগবে। এমন অবস্থায় দর্শকশুন্য ভাবে হলেও ম্যাচ আয়োজনের পক্ষপাতী অনেক ক্রিকেটার।
ঘটনাচক্রে এই বছরে যদি আইপিএল না আয়োজন করা হয় তাহলে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বিসিসিআইকে। জানা গিয়েছে, সেক্ষেত্রে ৪৭৫০০ কোটির ভ্যালুয়েশনের মধ্যে ৫০০০-৭৫০০কোটি ক্ষতির সম্মুখীন হবে বিশ্বের ধনীতম ক্রিকেট সংস্থা।
বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, "পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। এই মুহূর্তে আইপিএল নিয়ে কোনোকিছুই বলা সম্ভব হচ্ছে না। কীই বা বলার রয়েছে? বিমানবন্দর বন্ধ, মানুষ বাড়িতে আটকে রয়েছে। অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে। কেউই কোথাও যেতে পারছে না। মনে হচ্ছে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত এরকমভাবেই চলবে।"
এরপর তাঁর আরো সংযোজন, "এখন আইপিএল হলে ক্রিকেটাররা কিভাবে আসবে, কোথা থেকে ক্রিকেটারদের পাওয়া যাবে! সাধারণ বিচারে বলে আইপিএল তো বটেই, গোটা বিশ্বেই আপাতত খেলার উপযুক্ত পরিবেশ নেই।"
সৌরভ ইঙ্গিত দিয়েছেন, গোটা টুর্নামেন্ট নিয়ে নতুন দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠকের পর। গতমাসেই ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের সঙ্গে সৌরভের একটি বৈঠকের কথা ছিল ভিডিও কনফারেন্সে। তবে সেই বৈঠক বাতিল হয়ে যায়।
তিনি বলছেন, "সোমবারই একটা আপডেট দিতে পারব বোর্ডের অফিস বিয়ারারদের সঙ্গে আলোচনার পর। তবে বাস্তবের কথা বিবেচনা করলে পুরো বিশ্বই থমকে গিয়েছে। সেখানে এই মুহূর্তে খেলার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।"