আর বন্ধু ওয়ার্নের মৃত্যুতে মর্মাহত সৌরভ নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করলেন, দুজনের ছবি। ক্যাপশনে লিখলেন, "বিশ্বাস-ই হচ্ছে না। অন্যতম সেরা… জীবন এতটাই অপ্রত্যাশিত… প্রত্যেককে বুঝতে হবে সমস্ত কিছুর তুলনায় স্বাস্থ্যই সবথেকে মূল্যবান। এই বিষয়ে কোনও আপোষ করা উচিত নয়।"
১৯৯২ থেকে ২০০৭- দীর্ঘ দেড় দশকের ক্রিকেট কেরিয়ারের একের পর এক শৃঙ্গ ছুঁয়েছেন ওয়ার্ন। উইজডেনের শতকসেরা পাঁচ ক্রিকেটারের বিরল তালিকাতেও জায়গা করে নিয়েছিলেন। ২০১৩-য় আইসিসির হল অফ ফেম-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয় তাঁকে।
আইকনিক সিডনি ক্রিকেট মাঠে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটান মহাতারকা, ১৯৯২-এ। ১৯৯৯-এ অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন করতে বড়সড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। এসেজের ইতিহাসে সর্বকালের সর্বসেরা উইকেট প্রাপকও তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের পরে আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসে কোচ কাম অধিনায়কের ভূমিকায় পাওয়া গিয়েছিল তাঁকে। টুর্নামেন্টের প্ৰথম সংস্করণেই রাজস্থানকে জয়ী করেন। মাঠ এবং মাঠের বাইরে ফ্ল্যামবয়েন্ট ব্যক্তিত্ব নিয়ে আলোচিত ছিলেন। ধারাভাষ্যকারের ভুমিকাতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত ক্রিকেট মহল। শনিবার ভারত-শ্রীলঙ্কা দুই দল-ই মাঠে নামার আগে কিংবদন্তি স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করে।