অভিষেকের আগেই জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে নেমে পড়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অনেকেই জানেন না সেই তথ্য। ১৯৯১-এ দক্ষিণ আফ্রিকা তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে ভারতে এসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই সিরিজে পরিবর্ত ফিল্ডার হিসাবে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের মহারাজ। সেই সিরিজের স্কোয়াডে সৌরভকে রাখেননি নির্বাচকরা। তবে।নভেম্বরের ১৪-য় দিল্লির জওহরলাল স্টেডিয়ামে শেষ ওয়ানডেতে পরিবর্ত ফিল্ডার হিসাবে মাঠে নামেন তিনি।
নতুন দিল্লিতে ওয়ানডে ম্যাচের আগে ধারাভাষ্যকারা বলাবলি করছিলেন, "তরুণ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সুযোগ মিলল না।" প্রোটিয়াজদের হয়ে কেপলার ওয়াসেলস এবং পিটার কার্স্টেন দুর্ধর্ষ পারফর্ম লড়ে ম্যাচ একপেশে করে দেন। কার্স্টেন ৮৬ করে অপরাজিত থাকেন। কেপলার ওয়েসেলস ১০৫ বলে ৯০ করে যান। দুই তারকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে দুরন্ত জয় এনে দেন।
আরও পড়ুন: বেনজির সঙ্কটে গোটা দেশ, আইপিএল নিয়ে মহা বৈঠকের আয়োজন সৌরভদের
ভারত প্ৰথমে ব্যাট করে ২৮৮ রানের টার্গেট দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। সেই রান মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে তুলে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৮ উইকেটে জয় পায় প্রোটিয়াজরা। সেই সিরিজে সেটাই ছিল সফরকারী দলের প্রথম জয়। সেই ম্যাচে রবি শাস্ত্রী দারুণ শতরান হাঁকিয়ে গিয়েছিলেন।সেই সঙ্গে সৌরভের প্রাক্তন সতীর্থ সঞ্জয় মঞ্জরেকরও ১০৫ করেন। তবে প্রোটিয়াজদের দুরন্ত পারফরম্যান্স ম্লান করে দেয় ভারতীয়দের জোড়া শতরান।
৯০-এ দুরন্ত রঞ্জি মরশুম কাটানোর পরে ভারত-অস্ট্রেলিয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ত্রিদেশীয় সিরিজে নির্বাচকরা দলে ডেকে নেন সৌরভকে। ১৯৯২-এ ব্রিসবেনের গাব্বায় ব্রায়ান লারার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ানডেতে অভিষেক ঘটে সৌরভের। সেই সিরিজে অবশ্য মনের মত পারফরম্যান্স করতে পারেননি তিনি। সিরিজের পরেই বাদ পড়তে হয় তাঁকে।
চার বছর পরে স্বমহিমায় সৌরভের রাজকীয় প্রত্যাবর্তন ঘটে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে ১৩১ করে জাতীয় দলে জায়গা পাকা করে নেন। বাকিটা ইতিহাস। কেরিয়ারে ১১৩ টেস্টে ৭২১২ রান করেছেন সৌরভ। ৩১১ ওয়ানডেতে সৌরভের সংগ্রহে ১১৩৬৩ রান।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন