Wriddhiman Saha Sourav Ganguly fall out: অবসরের আগে শেষবারের মত একবার বাংলার হয়ে খেল। ঋদ্ধিমান সাহার কাছে বার আর্জি জানালেন স্বয়ং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবারই সৌরভের আর্জির কথা জানিয়েছেন, ত্রিপুরার ক্রিকেট সংস্থার যুগ্ম সচিব জয়ন্ত দে।
বছর দুয়েক আগে বাংলার ক্রিকেট সংস্থার সঙ্গে মতানৈক্য হয় জাতীয় দলের একসময়ের তারকা কিপার-ব্যাটারের। তারপরেই বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরায় পাড়ি দেন পাপালি। ৩৯ বছরের তারকা সম্প্রতি কলকাতায় মহারাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ-ও করেছেন। সংবাদ সংস্থাকে জয়ন্ত দে জানিয়েছেন, "সৌরভ চান ঋদ্ধিমান যেন বাংলায় হয়ে খেলে অবসর নিক। সাহা নিজে আমাকে এই কথা জানিয়েছেন। তবে ও এখনও ত্রিপুরা রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার কাছে এনওসি চায়নি। আমরা সম্প্রতি সুদীপ চট্টোপাধ্যায়কে এনওসি দিয়েছি। ও বাংলার জার্সিতে প্রত্যাবর্তন করবে। তবে সাহা এখনও এনওসি চায়নি।"
আরও পড়ুন: স্টার্ক পেল ২৩.৭৫ কোটি, তোমার দাম ৫৫ লাখ! প্রশ্ন শুনেই আগুন রিঙ্কু, দিলেন সপাটে জবাব
বেঙ্গল প্রো লিগ চালু হয়ে যাচ্ছে ১১ জুন। ড্রাফট হয়ে গিয়েছে কয়েকদিন আগেই। সাহা নিজের শহরের ফ্র্যাঞ্চাইজি শিলিগুড়ি স্ট্রাইকার্স-এর হয়ে খেলতে পারেন। তবে কোনওকিছুই এখন চূড়ান্ত নয়।
সৌরভের সঙ্গে ঋদ্ধিমানের সমস্যার সূত্রপাত জাতীয় দলে থাকার সময়। রাহুল দ্রাবিড়ের টিম ইন্ডিয়া ঋদ্ধিমানকে টিম ইন্ডিয়া সেট আপ থেকে ছেঁটে ফেলেছিল। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে হোম সিরিজে রাখা হয়নি বাংলার তারকাকে। পরে ঋদ্ধিমান খোলসা করেন কোচ দ্রাবিড় নাকি তাঁকে অবসর নেওয়ার পরামর্শ দেন। এরপরে তাঁর বিস্ফোরক সংযোজন ছিল, সৌরভ নাকি একান্ত আলোচনায় তাঁকে জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার বিষয়ে নিশ্চয়তা দেন। ঘটনাচক্রে সেই সময় সৌরভ ছিলেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট।
জাতীয় দলের পর্ব মেটার পরেই বাংলার ক্রিকেট সংস্থার এক প্রভবশালী কর্তা ঋদ্ধিমানের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরপরেই ঋদ্ধিমান বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন। এমনকি বাংলার হোয়াটসআপ গ্রুপ-ও লিভ করেন তারকা। তৎকালীন সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া ঋদ্ধিমান সাহাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তবে কাজের কাজ হয়নি।