রাহুল দ্রাবিড়, শচীন তেন্ডুলকর থেকে সৌরভ- স্বার্থ সংঘাত ইস্য়ুতে বিব্রত হতে হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটের রথী-মহারথীদের। তাই বিসিসিআই দফতরে মনোনয়ন পেশ করার পরেই সৌরভ জানিয়ে দিলেন, সভাপতি হিসেবে স্বার্থ-সংঘাত ইস্যুতে সমাধান করা তাঁর অগ্রাধিকার হতে চলেছে। নমিনেশন ফাইল করার পরে সৌরভ সাংবাদিকদের সামনে এসে বলে দেন, "দারুণ লাগছে। ক্রিকেটাররা এই সিস্টেমের একটা অংশ। সবসময়েই ক্রিকেটাররা প্রশাসনের অংশ থেকেছে। তবে সংখ্যা পর্যাপ্ত ছিল না। কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট এমন একটা ইস্যু যা নিয়ে রীতিমতো ভাবনা চিন্তা করতে হবে।"
শনিবারেই মুম্বইতে বিসিসিআইয়ের পদের জন্য একের পর এক নাটক। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রথমে আইপিএল চেয়ারম্যান হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, যা তিনি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে দেন। সেই সময়ে ব্রিজেশ প্যাটেল বিসিসিআই মসনদে বসার জন্য ফেভারিট ছিলেন। তবে রাতের দিকে ফের একপ্রস্থ মোচড়। সেই মোচড়ের অভিঘাতেই সৌরভ বোর্ডের সর্বোচ্চ পদাধিকারী যে হচ্ছেন, তা নিশ্চিত হয়।
রবিবার মনোনয়ন পেশের পরে সৌরভ বোর্ডের ভাবমূর্তি উদ্ধারের বার্তা দিয়ে বলেন, "বিসিসিআইয়ের ভাবমূর্তি অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। তাই বোর্ডকে নতুন করে সাজানোর ভাল সুযোগ রয়েছে আমার কাছে। নির্বাচিত হলাম নাকি মনোনীত হলাম, তার থেকেও বড় বিষয় হল, এটা বড় দায়িত্ব নেওয়ার সুযোগ এনে দিয়েছে আমার কাছে। কারণ, বিসিসিআই ক্রিকেটের সবথেকে বড় সংস্থা। ইন্ডিয়া একটা পাওয়ার হাউস। এটা আমার কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ।" এরপরে তাঁর সংযোজন, "আশা করি সামনের কয়েকমাসে ভারতীয় ক্রিকেটকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনব।"
ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদ নাকি জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব, কোনটা বেশি আত্মতৃপ্তির? সৌরভ বলছেন, "ভারতীয় দলের অধিনায়ক হওয়ার থেকে ভাল অনুভূতি আর কিছু হতে পারে না। কখনই ভাবিনি আমি বোর্ডের সভাপতি হব।"
প্রাক্তন বিসিসিআই সদস্য রাজীব শুক্ল জানিয়েছেন, "আমাদের প্যানেল সৌরভকে সভাপতি পদে মনোনীত করেছে। ২৩ তারিখে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল জানা যাবে।"
Read the full article in ENGLISH