Sourav Ganguly warns Gautam Gambhir: ভারতের হেড কোচ হওয়ার জন্য এই মুহূর্তে হট ফেভারিট গৌতম গম্ভীর। আর তাঁকেই ক্রিকেট মহলের অধিকাংশ চাইছেন। সৌরভ যেমন সরাসরি গম্ভীরের সমর্থনে মুখ খুললেন।
২৭ মে বোর্ডের দফতরে হেড কোচ আবেদনের সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। ভারতের সম্ভাব্য কোচ হিসেবে জাস্টিন ল্যাঙ্গার, রিকি পন্টিং, স্টিফেন ফ্লেমিং থেকে আশিস নেহরা, গৌতম গম্ভীরের নাম ভেসে উঠছে।
তবে সৌরভ সরাসরি দেশীয় কোচের পক্ষেই ব্যাট ধরলেন। মুম্বইয়ের এক ইভেন্টে বলে দিলেন, "ভারতীয় কোচ নিয়োগে আমার সায় রয়েছে। গম্ভীর যদি আবেদন করে থাকে, তাহলে ও ভালো কোচ হবে।"
তবে গম্ভীরকে সতর্ক করে দিতেও ভোলেননি মহারাজ। রেভ স্পোর্টস-এ সৌরভ বলে দিয়েছেন, "ও ভীষণ প্যাশনেট, ভীষণ সৎ। হেড কোচ হওয়ার উপযুক্ত। তবে এক ফ্র্যাঞ্চাইজিতে মেন্টর হওয়া এবং জাতীয় দলের কোচ হওয়া কিন্তু এক নয়, তা-ও আবার টিম ইন্ডিয়ার মত হাইপ্রোফাইল দল। তবে আমি নিশ্চিত গৌতম এই ব্যাপারে জানে এবং গোটা বিষয়ে ভালোমত ধারণা রয়েছে।"
আরও পড়ুন: টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ, সেই ব্যক্তিরই অপারেশনের খরচ জোগাবেন ধোনি, ভাইরাল ভিডিও ফাঁস
"বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের সঙ্গে কীভাবে কাজ করতে হয়, সেই বিষয়েও ওঁর ধারণা হয়ে যাবে। ড্রেসিংরুমের সংস্কৃতির সঙ্গে ও অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। স্রেফ নিজের মতামত চাপিয়ে দেওয়াই নয়। ও অবশ্যই গোটা দলের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে চলবে। আমি নিশ্চিত।"
ঘটনাচক্রে সৌরভ মাত্র ৪৮ ঘন্টা আগেই টুইটারে কার্যত বোমা ফাটিয়ে দেন। গম্ভীর হেড কোচ হওয়ার নিশ্চিত আবহে মহারাজ টুইটারে লিখে দিয়েছিলেন, "কারোর জীবনে কোচের অবদান, তাঁদের পথপ্রদর্শন, এবং অবিরত অনুশীলন কারোর জীবনটাই বদলে দেয়। তাই কোচ এবং প্রতিষ্ঠানকে বিচক্ষণতার সঙ্গে বাছাই করতে হবে।" জয় শাহের বিসিসিআইকে পরামর্শ দেওয়ার ভঙ্গিতে করা এই টুইট কার্যত ঝড় তুলে দিয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল, তাহলে কি সৌরভের গম্ভীরের হেড কোচ নিয়োগে আপত্তি রয়েছে!
যাইহোক, গম্ভীর মেন্টর হিসাবে সোনার সময় পেরিয়েছেন আইপিএলে। লখনৌকে টানা দুবার প্লে অফে তুলেছেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সে পুরোনো শিবিরে ফিরেই দলকে দাপটের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন করতে সাহায্য করেছেন।
জাস্টিন ল্যাঙ্গার এবং রিকি পন্টিং কয়েকদিন আগেই মুখ খুলে বলে দিয়েছেন, বিসিসিআইয়ের তরফে ভারতের হেড কোচ হওয়ার প্রস্তাব পেয়েও তাঁরা সম্মত হননি। এরপরেই বোর্ডের ভাবমূর্তি বাঁচাতে সচেষ্ট হন সচিব জয় শাহ। তিনি পাল্টা ল্যাঙ্গার-পন্টিংয়ের দাবি খন্ডন করে বলে দেন, বোর্ডের তরফে কোনও অস্ট্রেলীয়কে কোচিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। তারপরই প্রবলভাবে ভারতের পরবর্তী কোচ হিসাবে উঠে আসে গম্ভীরের নাম।
একাধিক সর্বভারতীয় প্রচার মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বোর্ডের তরফে সবুজ সংকেত পেয়েই গম্ভীর আবেদন করেছিলেন হেড কোচের পদের জন্য। তবে বোর্ডের তরফে এখনই গম্ভীরের নাম ঘোষণা করা হয়নি। জানা যাচ্ছে, হেড কোচ হিসাবে নাম ঘোষণায় কোনও তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না বোর্ড। বিশ্বকাপের পরেই ভারতের আয়ারল্যান্ড এবং জিম্বাবোয়ে সফর রয়েছে। এই দুই সফরে সিনিয়রদের বিশ্রামে দিয়ে জুনিয়রদের পাঠানো হবে। এনসিএ-র কোচিং স্টাফকে রাখা হবে দায়িত্ব সামলানোর জন্য।