ভারতীয় ক্রিকেটের আঁতুড়ঘর বলা হয় এনসিএ-কে। নতুন তারকার জন্ম দেওয়া হোক বা তারকা ক্রিকেটারদের চোট আঘাত সারিয়ে ওঠার পীঠস্থান। সেই এনসিএ-তেই নিয়ে বড়সড় ঘোষণা হতে চলেছে বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে। বোর্ডের তরফে সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, এনসিএ-তে এবার মেডিকেল প্যানেল বসানো হবে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপডেট দেওয়ার জন্য সর্বক্ষণের জন্য সোশ্য়াল মিডিয়া বিভাগও খোলা হবে।
ভারতীয় ক্রিকেটে এমন ঘটনা আগে ঘটেনি। ক্রিকেটারদের চোট আঘাত সারিয়ে তোলার মঞ্চ হলেও এনসিএ-র পরিকাঠামোর গাফিলতি নিয়ে এর আগে একাধিকবার সমালোচনা শোনা গিয়েছিল। ঋদ্ধিমান সাহা, ভুবনেশ্বর কুমারের রিকভারির সময়েও এনসিএ-র অসঙ্গতি প্রকাশ্যে এসেছিল। এই কারণেই চোট সারিয়ে ফেরার জন্য জসপ্রীত বুমরা কিংবা হার্দিক পাণ্ডিয়ারা এনসিএ-র উপরে ভরসা না করে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ফেরার প্রচেষ্টা জারি রেখেছেন।
এমন অবস্থায় জাতীয় ক্রিকেট অ্য়াকাডেমি-র সাম্প্রতিক বৈঠকে বোর্ড সভাপতি সৌরভের সঙ্গে আলোচনা হয় যুব দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের। যিনি আবার বর্তমানে এনসিএ-র প্রধানও বটে। তারপরেই বোর্ডের তরফে জানা গেল ঢেলে সাজানোর বিষয়টি।
বোর্ডের এক শীর্ষ কর্তা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, "লন্ডনের একটি মেডিকেল সংস্থা ফর্টিয়াস বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি একটি প্যানেল গঠন করবে। একাধিকবার নেতিবাচক কারণে এনসিএ শিরোনামে উঠে এসেছে। প্রচারমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্যই এবার সোশ্যাল মিডিয়া দল নিয়োগ করা হবে। জাতীয় ক্রিকেট সংস্থার যে কোনও আপডেট বিভিন্ন সোশ্য়াল নেটওয়ার্কে নিয়মিত করা হবে।"
বেশ কিছুদিন ধরে এনসিএ-র প্রধান বোলিং কোচের পদটিও ফাঁকা। সেই শূন্য়স্থান শীঘ্রই পূর্ণ করা হবে। সেই বিষয়টিও জানানো হয়েছে। এর সঙ্গে বেঙ্গালুরুর এনসিএ-তে একজন পুষ্টিবিদকেও নিয়োগ করা হবে।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দেশের ক্রিকেট ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের জন্য এনসিএ প্রধান সেন্টার হতে চলেছে। চোট পাওয়ার পরে ক্রিকেটারদের রিহ্যাব এনসিএ-তেই করতে হবে। দেড় বছরের মধ্যে এনসিএ-কে পুরোদস্তুর ঢেলে সেজে উঠবে, এমনটাই আশা করছি মহারাজ।
Read the full article in ENGLISH