লিডসে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে লঙ্কাকাণ্ড ঘটিয়ে শেষ চারে পৌঁছনোর আশা জাগিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। সেই আশার সমাধি ঘটল ডারহ্যামে। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে আজ জিততেই হত শ্রীলঙ্কাকে সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকতে গেলে। কিন্তু দ্বীপরাষ্ট্রের দলকে হেসেখেলে নয় উইকেটে হারিয়ে মালিঙ্গা-ম্যাথুজদের স্বপ্নভঙ্গ করল ডুপ্লেসির টিম। বিশ্বকাপের শেষ চারের লড়াই থেকে আগেই ছুটি হয়ে গিয়েছিল আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর দক্ষিণ আফ্রিকার। সেই তালিকায় যোগ দিল শ্রীলঙ্কা। অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে শেষ চারে, অলৌকিক কিছু না ঘটলে ভারতেরও সেমিফাইনালের টিকিট কার্যত নিশ্চিত। বাকি দুটো জায়গার জন্য এখন লড়াই ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান আর বাংলাদেশের মধ্যে। হারাধনের দশটি ছেলের রইল বাকি ছয়। 'অ্যান্ড দেন দেয়ার ওয়ের সিক্স'!
টস জিতে ডুপ্লেসি আগে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কাকে। বড় রান গড়া দূরে থাক, শুরু থেকেই আজ নড়বড়ে দেখিয়েছে লঙ্কা-ব্যাটিংকে। রাবাদা, মরিস আর এই বিশ্বকাপে প্রথম সুযোগ পাওয়া প্রিটোরিয়াসের পেস আক্রমণের সামনে এক প্রকার অসহায় আত্মসমর্পণই করেছে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইন আপ। তিন পেসারের দখলে আট উইকেট। ইনিংসে যুগ্ম সর্বোচ্চ রান পেরেরা আর ফার্নান্দোর, মাত্র ৩০! খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে শ্রীলঙ্কা কোনওভাবে দুশোর গন্ডি পেরিয়ে ইনিংসে দাঁড়ি টানে ২০৩ রানে অল আউট হয়ে।
নেহাতই নিম্ন-মধ্যবিত্ত এই টার্গেট আর দক্ষিণ আফ্রিকার মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারতেন একমাত্র মালিঙ্গা, যিনি কুইন্টন ডি কক-কে ট্রেডমার্ক ইয়র্কারে বোল্ড করে কিঞ্চিৎ আশাও জাগিয়েছিলেন শুরুতে। কিন্তু একা মালিঙ্গার পক্ষে আর কীভাবে রোজ রোজ সম্ভব বিপক্ষকে দুমড়ে দেওয়া? ডুপ্লেসি আর আমলা অনায়াস ছন্দে শাসন করলেন শ্রীলঙ্কার বোলিংকে। ২০৪-এর টার্গেটে প্রোটিয়ারা পৌঁছে গেল ১২.৪ ওভার বাকি থাকতেই, মাত্র এক উইকেট হারিয়ে। ডুপ্লেসি-র ৯৬ আর আমলার ৮০ রানের ইনিংসে ভর দিয়ে। এই জয় যদিও ইতিমধ্যেই শেষ চারের লড়াই থেকে ছিটকে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে মূল্যহীন, তবু শেষ বেলায় কিছুটা মানরক্ষা তো হলো!