/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/07/Spain-euro.jpg)
Spain vs England, EURO 2024 Final Match Report: আবারও ইউরোপ সেরা স্পেন (টুইটার)
স্পেন: ২ (নিকো উইলিয়ামস, ওয়ারজাবল)
ইংল্যান্ড: ১ (পামার)
Spain vs England Final, European Championship: এবারও পারল না। টানা ছয় দশকের ট্রফি খরা এবারও কাটাতে ব্যর্থ ইংল্যান্ড। বার্লিনের অলিম্পিয়াকোস স্টেডিয়ামে ২-১ গোলে থ্রি লায়ন্স-দের হারিয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন স্পেন।
হাফটাইমেই রদ্রির মত গুরুত্বপূর্ণ মিডফিল্ডারকে হারাতে হয়েছিল ইনজুরিতে। তবে স্পেন দমে যায়নি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মাত্র দু-মিনিটে লামিনে ইয়ামিলের সহায়তায় গোল করে যান নিকো উইলিয়ামস।
এবারের ইউরোয় বারবার পিছিয়ে পড়ে দুর্ধর্ষ প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন ইংলিশ ফুটবলাররা। গ্যারেথ সাউথগেটের দল সেই ট্র্যাডিশন বজায় রাখল ফাইনালেও। ৭৩ মিনিটে পরিবর্ত হিসাবে নামা কোল পামার সমতা ফিরিয়ে দেন। তবে ইংরেজদের উল্লাস বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। নির্ধারিত সময়ে খেলা শেষ হওয়ার ঠিক তিন মিনিট আগে রিয়েল সোসিয়েদাদের ফরোয়ার্ড ওয়ারজাবল জয়সূচক গোল করে যান।
সবমিলিয়ে এই নিয়ে চতুর্থবারের মত ইউরোর খেতাব জিতে ফেলল স্পেন। শেষবার জাভি, ইনিয়েস্তা, বুস্কেটসদের সোনার প্রজন্ম ২০১২-এ ইউরো জিতিয়েছিলেন স্পেনকে। ১২ বছর পর ইউরোর ফাইনাল আবার স্প্যানিশ উত্থানের গল্প শুনিয়ে গেল।
১৯৬৬-এ শেষবার বিশ্বকাপ জয়। তারপর ছয় দশক কেটে গিয়েছে। বড়সড় ট্রফি খরা এখনও কাটেনি ইংল্যান্ডের। গত বছর ইতালিতে ওয়েম্বলিকে নির্ধারিত সময়ে রুখে দিয়েও রক্ষা পায়নি ইংরেজ বাহিনী। পেনাল্টিতে স্বপ্নভঙ্গের সাক্ষী থেকেছিলেন হ্যারি কেনরা।
রবিবার বার্লিনের অলিম্পিয়াস্টাডিওন-এ ইংরেজদের সমর্থনের পাল্লা ভারি ছিল। 'ইটস কামিং হোম' স্বপ্ন আটকে গেল স্পেনের টোটাল ফুটবলে। ইউরোর ইতিহাসে প্ৰথম দল হিসেবে টানা দুবার ফাইনালে পৌঁছেও ব্যর্থ হওয়াদের তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেলল হতভাগ্য গ্যারেথ সাউথগেটের ছেলেরা।
গোটা ম্যাচই নিয়ন্ত্রণ করে গেলেন লামিনে ইয়ামাল, নিকো উইলিয়ামসরা। ইংল্যান্ড সারাক্ষণ বল চেজ করেই কাটিয়ে দিল। তবু গোলের সুযোগের জন্য অপেক্ষা করতে হল ফার্স্ট হাফের সেশলগ্ন পর্যন্ত। ডিক্লান রাইসের এসিস্ট থেকে ফিল ফোডেনের ক্ষিপ্রতায় বাঁচিয়ে দেয় স্প্যানিশ গোলকিপার উনাই সিমন।
এরপরেই রদ্রিকে আহত হয়ে মাঠ ছাড়তে হবে। হ্যারি কেনের শট বাঁচিয়ে দেওয়ার পর ফলো থ্রুয়ে স্লাইডিংয়ে ধাক্কা খেয়ে বসেন সতীর্থ লাপোর্টের সঙ্গে। দুর্ধর্ষ হোল্ডিং মিডফিল্ডারের অনুপস্থিতি স্পেনের দাপটে বাধা তৈরি করতে পারেনি।
বিরতির ঠিক পরেই স্প্যানিশ উইঙ্গারদের সম্মিলিত আক্রমণে কেঁপে যায়। কার্বাহালের থেকে বল রিসিভ করেই ইনসাইড করে ইংরেজ রক্ষণে ফাটল ধরান। পাস বাড়ান উইলিয়ামসকে লক্ষ্য করে। লো শটে জর্ডান পিকফোর্ডকে পরাস্ত করে যান উইলিয়ামস।
ইংল্যান্ডকে ফিরতে হতই। কিছুটা নিষ্প্রভ দলের প্রাণভ্রমরা হ্যারি কেন-কে তুলে নিয়ে ম্যাচের ঠিক একঘন্টার মাথায় কোচ সাউথগেট নামিয়ে দেন অলি ওয়াটকিন্সকে। ইংল্যান্ডকে শেষমেষ ম্যাচে ভাসিয়ে রাখে পামারের গোল।বুকায়ও সাকা, জুডে বেলিংহ্যামের পা ঘুরে বল এসেছিল পরিবর্ত হিসাবে নামা পামারের কাছে। সমতা ফেরাতে দেরি করেননি তিনি।
ম্যাচ শেষ হওয়ার ঠিক চার-মিনিট আগে ম্যাচে স্প্যানিশ দাপটের শিলমোহর এঁকে দিয়ে আসে স্পেনের দ্বিতীয় গোল। সুপার সাব ওয়ারজাবল বিল্ড আপ প্লে তৈরি করেন মার্ক কুকুরেলার সঙ্গে। তারপর এটাকিং থার্ডে পৌঁছে গিয়ে সতীর্থের ক্রস সোজা জালে জড়িয়ে দেন।
শেষ দিকে ড্যানি ওলমো দুর্ধর্ষ ক্লিয়ার করে স্পেনের জয় নিশ্চিত করেন।