স্পনসর ছাড়াই খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। আর সেই টেস্টই কিনা ভাগ্য বয়ে আনল টাইগারদের জন্য। তাইজুল ইসলামের ১০ উইকেটে ভর করে সিলেটে প্রথম টেস্টেই বাংলাদেশ হারিয়ে দিল নিউজিল্যান্ডকে। ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়ন্সজয়ী দলকে ১৫০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারালো ওপার বাংলার ক্রিকেটাররা। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এটাই বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়।
প্ৰথম ইনিংসে ৪ উইকেট শিকার করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুল একাই শিকার করলেন ৬ উইকেট। তাঁর ১০ উইকেটের সামনে কিউইরা ৩৩২ রান চেজ করতে নেমে মাত্র ১৮১ রানে অলআউট হয়ে গেল।
সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, মাহমুদুল্লাহদের মত একাধিক প্ৰথম সারির তারকাকে ছাড়াই খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। জয়ের পর ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছেন, "আমরা ফলাফল নয়, এই উন্নতির পদ্ধতির উপর বেশি ফোকাস করছি। আগামী দিনে পরপর টেস্ট ম্যাচ খেলতে হবে। এই জয় আসন্ন সমস্ত ম্যাচের জন্য আমাদের আত্মবিশ্বাস জুগিয়ে যাবে। ঘরের মাঠে জেতা আমাদের অভ্যেস করে ফেলতে হবে। আশা করি এই পারফরম্যান্স-এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারব।"
দ্বিতীয় ইনিংসে কিউইদের হয়ে একমাত্র প্রতিরোধ গড়ে তুললেন ড্যারেন মিচেল। ১২০ বলের সংযমী ইনিংসে খেলে গেলেন ৫৮ রানের দুরন্ত ইনিংস। চতুর্থ দিনের শেষে কিউইরা ১১৩/৭ ছিল। পঞ্চম দিনের শুরুর ওভারেই তাইজুলকে বাউন্ডারি হাঁকানোর মাধ্যমে কিউই শিবিরে জয়ের সামান্য আশা জাগিয়ে তুলেছিলেন তিনি। সেই ওভারেই সিঙ্গলস নিয়ে ৯৯ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করে যান মিচেল।
ম্যাচ শেষে টিম সাউদি বলে দেন, "বাংলাদেশ দারুণ খেলল। এরকম কন্ডিশনে ওঁরা বরাবর-ই ভালো। বোলিং ইউনিট হিসাবে আমাদের আরও বেশি চাপ ধরে রাখতে হত। উইকেট বেশ ভালো ছিল। তবে বল ঘুরছিল। বিশ্বের এজ প্রান্তে যেটা স্বাভাবিক ব্যাপার। এই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা পরের ম্যাচে উন্নতির চেষ্টা করে যাব। প্রত্যেকেই উন্নতির চেষ্টা করে যাচ্ছে।"
সিরিজের দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্ট শুরু হচ্ছে ৬ ডিসেম্বর থেকে, মিরপুরে।