গত মাসের ঘটনা। তখন ইতিমধ্যেই লকডাউন জারি হয়ে গিয়েছে ব্রিটেন জুড়ে। সেই সময়েই চিকিৎসা ক্ষেত্রে জড়িত থাকা বেশ কিছু ব্যক্তি লন্ডনের এক পাবে বসে আলোচনা সারছিলেন। এদের মধ্যে ছিলেন লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ার ইঞ্জিনিয়ারের একজন প্রফেসর রেবেকা শিপলেও। সঙ্গে ছিলেন রেস কার ইঞ্জিনিয়ার টিম বেকার।
বিশ্বজোড়া করোনা ত্রাস সেই আলোচনার মুখ্য বিষয় ছিল। চিকিৎসকরা বলছিলেন, এই মুহূর্তে যে যন্ত্রের সবথেকে বেশি প্রয়োজন তা হলো মেকানিক্যাল ভেন্টিলেটর এবং এয়ার প্রেসার মেশিন।
বেকার জানতেন এই সময়ে সবথেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারে ক্রীড়াজগৎই। তিনি নিজেও ফর্মুলা ওয়ানের রেসিং কারের ইঞ্জিন তৈরি করেছিলেন। ফর্মুলা ওয়ান খুব অল্প সময়ে উচ্চ প্রযুক্তির মেশিন তৈরি করতে সক্ষম।
পরের দিন মার্চের ২৫ তারিখে মার্সিডিজ এএমজির দুই ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বেকার। সারারাত কাজ করেই তাঁরা বেশ কিছু নতুন ডিজাইনের সিপিএপি মেশিন তৈরি করতে সক্ষম হলেন। খুব দ্রুত এই মেশিন তৈরি করা সম্ভব।
সেই পাব মিটিংয়ের ১০০ ঘন্টার মধ্যেই প্রোটোটাইপ তৈরি করে ১০ দিনের মধ্যে ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে মেশিন বানানোর সম্মতিও জোগাড় করে ফেললেন তাঁরা।
করোনার চিকিৎসায় এখন ভেন্টিলেটরের চাহিদা এখন তুঙ্গে। শুধু মার্সিডিজই নয় ফর্মুলা ওয়ানের প্রতিটি সংস্থাই আপাতত ভেন্টিলেটর তৈরি করছে জরুরিকালীন ভিত্তিতে। খেলা জগৎ বন্ধ। স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে বিশ্ব ক্রীড়া। এমন অবস্থায় চিকিৎসায় ভেন্টিলেটর, অন্যান্য চিকিৎসার সরঞ্জাম তৈরি করছে স্পোর্টস কোম্পানিগুলো। নিজেদের ফ্যাক্টরিতেই।
শুধু স্পোর্টস জগৎ নয় এই জরুরীকালীন পরিষেবায় হাত মিলিয়েছে অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রিও। প্রাদা, গুচ্চি, এডি বাউয়ারের মতো বিখ্যাত ফ্যাশন সংস্থা, ডিয়োর, গ্রাভিঞ্চি-র মতো সুগন্ধি প্রস্তুতকারক সংস্থাতেও চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরি করা হচ্ছে অন্য উৎপাদন বন্ধ রেখে। একাধিক কোম্পানিতে আবার হ্যান্ড সানিটাইজার বানানো হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন