বাগানের হার্টথ্রব তিনি। এক মরশুম আগে ফেরান্দোর সংসার ছেড়ে বেঙ্গালুরু এফসিতে সই করেছিলেন। তবে মরশুম শেষেই ঠিকানা বদলাচ্ছেন তিনি। বাগানের কিংবদন্তি রয় কৃষ্ণকে ভাবা হয়েছিল এ লিগের ওয়েলিংটন ফিনিক্সের হয়ে খেলবেন। তবে এ লিগ নয়, আইএসএল-এই থাকছেন তিনি। রয় কৃষ্ণকে শেষবেলায় সই করিয়ে চমকে দিল ওড়িশা এফসি।
সের্জিও লোবেরার দলে দিয়েগো মরিসিওর সঙ্গে আপফ্রন্টে জুটি বাঁধবেন তিনি। তুখোড় ফর্মে রাজত্ব করেছেন আইএসএল-এ। বাগানের জার্সিতে একের পর এক ম্যাচে ফুল ফুটিয়েছিলেন। তবে ২০২১/২২ মরশুমে বাগানে অনেকটাই নিষ্প্রভ ছিলেন তিনি। তাই হুয়ান ফেরান্দো বাগান জনতার ডার্লিংকে ছেড়ে দিয়েছিলেন। ভাবা হয়েছিল বেঙ্গালুরু এফসিতে সুনীল ছেত্রীর সঙ্গে জুটিতে নিজের হারানো ফর্ম ফিরে পাওয়ার সঙ্গেই প্রতিপক্ষের ডিফেন্সে ভাঙচুর চালাবেন। অনেক আশা জাগিয়ে গত মরশুমের শুরুতে এটিকে মোহনবাগান থেকে পাড়ি দিয়েছিলেন বেঙ্গালুরু এফসিতে।
সুনীল-কৃষ্ণের ডেডলি কম্বিনেশন সেভাবে জ্বলে ওঠেনি। প্ৰথম দিকে বেঙ্গালুরুর জার্সিতে টানা ব্যর্থ হয়েছেন সুনীল-কৃষ্ণ জুটি। একের পর এক হারে প্লে অফে ওঠা নিয়েই একসময় সংশয় তৈরি হয়েছিল। তবে শেষমেশ বেঙ্গালুরুতে নতুন তারকা হিসাবে উদয় হয়েছেন শিবশক্তি নারায়ণ। আইএসএল-এর লাস্ট ল্যাপে বেঙ্গালুরু কোনওরকমে প্লে অফ নিশ্চিত করে।
সবমিলিয়ে, কৃষ্ণকে নিয়ে প্রত্যাশার যে হাইপ উঠেছিল, তার বিন্দুমাত্রও পূরণ করতে পারেননি এ লিগ কাঁপিয়ে আসা একসময়ের তারকা। ব্লুজদের হয়ে ৩২ ম্যাচে মাত্র ১০ গোল করেছেন। বেঙ্গালুরু নতুন সিজনে ঢেলে সাজাতে চাইছে স্কোয়াড। তাই কোচ সাইমন গ্রেসন বিদায় জানিয়ে দেন রয় কৃষ্ণকে।
২০১৯-এ আইএসএল-এ এটিকের জার্সি চাপানোর আগে রয় কৃষ্ণ টানা পাঁচ বছর এ লিগ কাঁপিয়েছিলেন ওয়েলিংটন ফিনিক্স-এর হয়ে। নিউজিল্যান্ডের ক্লাবটির ইতিহাসে সর্বাধিক গোলস্কোরারও তিনি। ১২২ ম্যাচে ৫১ গোল করেছিলেন তিনি ফিনিক্সের হয়ে। ট্রান্সফার সিজনে রটে গিয়েছিল কৃষ্ণ হয়ত পুরোনো সংসারে ফিরে যাবেন, তবে আপাতত কৃষ্ণ থাকছেন আইএসএল-এই।