নাডা-র অধীনে এবার ভারতীয় ক্রিকেটারদের ডোপ পরীক্ষা হবে। শুক্রবারেই সরকারিভাবে একথা জানানো হয়েছে। বিসিসিআই-য়ের এই স্টান্ট বদলকে স্বাগতই জানাচ্ছেন ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তিনি সরাসরি জানালেন, ক্রীড়ায় স্বচ্ছ প্রশাসন চালানোর দিকে এটা বড়সড় পদক্ষেপ। পুরো বিষয়টিকে সদ্বর্থক ব্যাখ্যা করে তিনি জানিয়েছেন, "কোনও বিষয় অমীমাংসিত থাকুক, এটা আমি চাইনা। যে কোনও ধরনের মতের পার্থক্য বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে মেটানো উচিত। কারণ স্বচ্ছ ও পরিষ্কার প্রশাসনে আমি বিশ্বাস করি। খেলা এবং খেলার সঙ্গে জড়িত লোকজনের তাগিদেই এমনটা হওয়া প্রয়োজন।"
স্বশাসনের অজুহাতে বিসিসিআই বরাবরই ক্রিকেটারদের ডোপ পরীক্ষার বন্দোবস্ত নিজেরাই করত। সাম্প্রতিককালে পৃথ্বী শ-য়ের ডোপ পরীক্ষার নমুনায় নিষিদ্ধ বস্তুর সন্ধান পাওয়া যাওয়ায় উঠতি তারকাকে সাসপেন্ড করে বোর্ড। তারপরেই সমস্যার সূত্রপাত। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের পক্ষ থেকে চিঠিতে জানানো হয়, বোর্ডের ডোপ পরীক্ষা করার কোনও এক্তিয়ারই নেই। কারণ তা ওয়াডার অধীনস্থ কোনও সংস্থা নয়। তাঁদের সাফ বক্তব্য ছিল, বিসিসিআই যেহেতু নিজেই ক্রিকেটারদের ডোপ পরীক্ষা করে শাস্তির নিদান দিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে স্পষ্টতই স্বার্থ সংঘাত ঘটছে। পাশাপাশি, বিসিসিআইয়ের নিজস্ব ডোপিং সংস্থা যেহেতু বিশ্বের ডোপিং বিরোধী সংস্থা ওয়াডা-র অনুমোদিত নয়, তাই ডোপিংয়ের ক্ষেত্রে বোর্ডের কার্যত অধিকারই নেই ক্রিকেটারদের শাস্তির নিদান দেওয়া।
আরও পড়ুন
তারপরেই বোর্ড নাডা-র অধীনে ডোপ পরীক্ষা করতে রাজি হয়। বিসিসিআই-এর সিইও রাহুল জোহরির সঙ্গে শুক্রবারেই বৈঠকে বসেন নাডা-র সচিব। সেখানেই নাকি বোর্ডের তরফে রীতিমতো লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়ে জানানো হয়, নাডা-র 'অ্যান্টি ডোপিং গাইডলাইনস' মেনে চলতে রাজি বিসিসিআই। সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাডা সচিব রাধেশ্যাম ঝুলনিয়া জানান, "এবার থেকে সমস্ত ক্রিকেটারদেরই পরীক্ষা করবে নাডা।" তিনি আরও জানান, "বোর্ডের তরফে তিনটে ইস্যু তুলে ধরা হয়েছে – ডোপিং কিটসের মান, গুণমানসম্পন্ন প্যাথলজিস্ট এবং নমুনা সংরক্ষণ। আমাদের তরফে সমস্ত কিছু মেনে নেওয়া হয়েছে। তবে এর জন্য অতিরিক্ত খরচা করতে হবে। কারণ বিসিসিআই অন্যদের থেকে আলাদা হতে পারে না।"
Read the full article in ENGLISH