/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/06/collage-LEAD-7.jpg)
আইপিএল নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা এবার নিজেদের দাবি জানানো শুরু করল। কেউ বলছেন দ্রুত সূচি জানানো হোক। কেউ আবার স্পনসর নিয়ে মতামত জানালেন। পদ্মশ্রীতে মনোনয়ন পেলেন আইএম বিজয়ন। বিতর্কিত টুইটের জেরে এবার সাসপেন্ড সিএসকের টিম ডাক্তার। জার্মানিতে ফের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন।
আইপিএলের ফরম্যাট
কাটছাঁট করে নাকি পূর্ণাঙ্গ! কবে, কোথায়, কখন- আইপিএল আয়োজন নিয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানায়নি বিসিসিআই। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ২৪ ঘন্টা আগেই যেভাবে জানিয়ে দিয়েছে, বিশ্বকাপ আয়োজনের সম্ভবনা কার্যত ক্ষীণ তাতে আইপিএল নিয়ে আশাবাদী সমর্থকরা। ঘটনা হচ্ছে, সব ফ্র্যাঞ্চাইজিই আইপিএলে টিভিতে রেকর্ড ভিউয়ারশিপ পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। সেই কারণেই, কাটছাঁট নয়, পুরো লিগই চাইছে সব দল।
পিটিআইকে কিংস ইলেভেনের নেস ওয়াদিয়া যেমন জানিয়েই দিয়েছেন, "১৬ দল নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজন সম্ভব নয়। আইপিএল আয়োজনও যে সহজ, তাও নয়। তবে টুর্নামেন্ট একটাই জায়গায় হতে হবে যেখানে মাঠ ও মাঠের বাইরে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রয়েছে।" যদিও গত সপ্তাহেই কেকেআরের সিইও ভেঙ্কি মাইশোর জানান, টুর্নামেন্টের ফরম্যাটে কোনোরকম পরিবর্তন বরদাস্ত করা হবে না।
নেস ওয়াদিয়া অবশ্য জানিয়েছেন, "পূর্ণাঙ্গ টুর্নামেন্ট আয়োজন করার বিষয়ে বিসিসিআই পুরোপুরি প্রচেষ্টা করছে। তবে সংক্ষিপ্ত টুর্নামেন্ট হলেও আমাদের আপত্তি কিছু নেই।"
আইপিএল স্পনসর
সংক্ষিপ্ত লিগ নিয়ে আপত্তি নেই। তবে আইপিএলের দিনক্ষণ যেন বোর্ড আগেভাগে জানিয়ে দেন। এমনটাই চাইছে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। আইপিএল না হলে আর্থিকভাবে বোর্ডের সঙ্গেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে প্রায় সব দল। সেই কারণেই স্পনসরদের সঙ্গে কথা বলার জন্য অগ্রীম সময় চাইছে ফ্রাঞ্চাইজিরা।
ঘটনা হল, আইপিএল এবার ক্লোজড ডোর খেলা ছাড়া উপায় নেই। দর্শকশূন্য স্টেডিয়াম কতটা উৎসাহী স্পনসর জোগাড় করতে পারবে না নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
নেস ওয়াদিয়া আবার আশা করছেন আইপিএলে এবারই রেকর্ড স্পনসর পাবে দলগুলো। তিনি জানিয়েছেন, "আইপিএলে স্পনসর কম হবে, এমনটা মোটেই নয়। হয়ত পরিস্থিতি উনিশ-বিশ হতে পারে। তবে টুর্নামেন্টের দিন ঘোষণা করে দিলেই স্পনসরদের আগ্রহী না হওয়ার কোনো কারণ নেই! কারণ এবার ভিউয়ারশিপ আরো বেশি হবে।"
নেস ওয়াদিয়ার সঙ্গে একমত হয়েছেন সিএসকে এক কর্তাও। তিনি বলেন, "অতিমারীর একটা প্রভাব থাকবেই। তা নিয়ে সন্দেহ নেই। তবে টিভি কিন্তু বিজ্ঞাপনের দারুণ সুযোগ। তবে কঠিন পরিস্থিতিতে তাদের হাতে কত অর্থ রয়েছে, সেটাও দেখতে হবে। আইপিএল এর দিন জানিয়ে দিলেই স্পন্সররা যোগাযোগ শুরু করবে।"
পদ্মশ্রী মনোনয়ন বিজয়নকে
পদ্মশ্রী পুরস্কারের জন্য আইএম বিজয়নের নাম মনোনয়ন করল সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা। দেশের চতুর্থ সাম্মানিক পুরস্কারের জন্য কালো চিতাকেই বাছলেন ফেডারেশনের কর্তারা। নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক ঘটে বিজয়নের। ৫১ বছরের প্রাক্তন তারকা স্ট্রাইকার জাতীয় দলের জার্সিতে ৭৯ ম্যাচে ৪০টি গোল ও করেছেন। ২০০৩ সালে আগেই বিজয়নকে অর্জুন পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। ১৯৯৩, ১৯৯৭, এবং ১৯৯৯ সালে দেশের সেরা ফুটবলারও নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে ফেডারেশনের সচিব কুশল দাস বলেন, "কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে বিজয়নের নাম পদ্মশ্রী পুরস্কারের জন্য পাঠানো হয়েছে।" ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাইচুং ভুটিয়ার সঙ্গে আপফ্রন্টে স্বপ্নের পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছিলেন তিনি। ক্লাব স্তরে মোহনবাগান, কেরালা পুলিশ, জেসিটি, এফসি কোচিনের জার্সিতে চুটিয়ে খেলেছেন।
সাসপেন্ড সিএসকে ডাক্তার
ইন্দো-চিন সৈনিকদের হাতাহাতির মধ্যে বিতর্কিত টুইট ভেসে এসেছিল সিএসকে-র টিম ডাক্তার মধু থোত্তাপিলিলের কাছ থেকে। সেইজন্য বুধবারই সিএসকের তরফে ছেঁটে ফেলা হল দলের ডাক্তারকে।
সিএসকের পক্ষ থেকে পরে টুইটারে বিবৃতিতে জানানো হয়, "টিম ডাক্তার মধু থোত্তাপিলিলের ব্যক্তিগত টুইট সম্পর্কে আমরা অবহিত ছিলাম না। আপাতত তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন টুইটের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী চেন্নাই সুপার কিংস। ম্যানেজমেন্টের এই বিষয়ে কোনো ধারণাই ছিল না। একদমই রুচিহীন এই পোস্ট।"
স্পোর্টস মেডিসিনে বিশেষজ্ঞ মধু থোত্তাপিলিল আইপিএলের শুরু থেকে দলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।লাদাখে যুদ্ধের প্রসঙ্গে সেনা জওয়ানদের নিয়ে একটি টুইট করেন সিএসকে-র টিম ডাক্তার। তিনি সেই টুইটে প্রধানমন্ত্রী মোদির সমালোচনা করতে গিয়ে 'পিএম কেয়ার্স' লেখেন। তারপরেই সর্বস্তরে আলোচনা শুরু হয়ে যায়। বিতর্কের মুখে পড়ে সেই টুইট মুছেও দেন তিনি। তবে তাতে পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। এরপরেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে সিএসকে সরিয়ে দেয় সেই বিতর্কিত ডাক্তারকে।
চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন
দু ম্যাচ বাকি থাকতেই বুন্দেশলিগা চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল বায়ার্ন মিউনিখ। মঙ্গলবার রাতে রবার্ট লেওয়ানডস্কির একমাত্র গোলে ওয়ার্ডার ব্রেমেনকে হারানোর সঙ্গেসঙ্গেই চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিশ্চিত করে ফেলে বায়ার্ন। এই নিয়ে টানা আটবার বুন্দেশলিগা জয়ের শিরোপা পড়ল তারা। ২০১৩ থেকে শুরু হয়েছিল জয়রথ। তা এবারেও অক্ষত থাকল। এদিনের বায়ার্নের জয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ডর্টমুন্ড এর থেকে ১০ পয়েন্টে এগিয়ে গেল বাভারিয়ান্সরা। শেষ তিনটে ম্যাচ থেকে ডর্টমুন্ড বড়জোর নয় পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারে।
বিরতির ঠিক আগে ৪৩মিনিটে জেরোম বোয়েটাং দুর্দান্ত একটি এসিস্ট করেন। সেই বল দারুণ ক্ষিপ্রতায় নিয়ন্ত্রণে এনে গোল করে যান পোলিশ স্ট্রাইকার। এই নিয়ে চলতি মরশুমে নিজের ৩১ তম গোল করে ফেললেন তিনি। ৭৯ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে আলফ্যানসো ডেভিস বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার পর দশ জন হয়ে যায় বায়ার্ন মিউনিখ। তবে এর ফায়দা নিতে পারেনি প্রতিপক্ষ। করোনা ভাইরাসের কারণে এতদিন খেলা বন্ধ থাকায় গতমাসেই বুন্দেশলিগা চালু হয়েছিল। সবমিলিয়ে, ৩০তম বুন্দেশলিগা চ্যাম্পিয়ন হল বায়ার্ন।