Advertisment

দিনের বাছাই খেলার খবর: শচীনের অবসর নিয়ে কার্স্টেন, দূতাবাসে অ্যাকোস্টা, ক্ষমাপ্রার্থী সিএসকে চিকিৎসক

দিনের সেরা খবর এক ক্লিকে- শচীনের অবসরে কার্স্টেনের ভূমিকা। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ফিফায় যাবেন জনি একোস্টা। প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারদের সাহায্য স্টিভ ওয়ার ম্যানেজারের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কার্স্টেন না থাকলে আগেই অবসর নিয়ে ফেলতেন শচীন। অসহায় একোস্টা দিন কাটাচ্ছেন কোস্টারিকার দূতাবাসে। বিতর্কের পর ক্ষমা চেয়ে নিলেন সিএসকে চিকিৎসক। প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারদের সাহায্য করলেন স্টিভ ওয়ার ম্যানেজার।

Advertisment

শচীনের অবসরে কার্স্টেন:

ধোনির নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জয়ের পর নয়, বরং তারও বছর পাঁচেক আগে ক্রিকেট ছেড়ে দিতেন শচীন রমেশ তেন্ডুলকর। এমনটাই জানিয়ে দিলেন বিশ্বকাপ জয়ী কোচ গ্যারি কার্স্টেন। দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ ভারতের জাতীয় দলে কোচ হয়ে আসার আগে নিজের ব্যাটিং পজিশন নিয়ে মোটেই সন্তুষ্ট ছিলেন না। ২০০৭ সালে শচীন ৩ অথবা ৪ নম্বরে ব্যাটিং করতেন। পরে কার্স্টেন দায়িত্ব নেওয়ার পর নিজের ওপেনিং স্লট ফিরে পান। এমনটাই জানাচ্ছেন তিনি।

খেলার এক পডকাস্ট শো 'দ্য ক্রিকেট কালেক্টিভ'-এ গ্যারি কার্স্টেন জানালেন, "শচীনের সঙ্গে কোচিংয়ের যাত্রাপথ ভালো উপভোগ করেছিলাম। যখন আমি ভারতে প্রথমবার কোচিং করাতে আসি, সেই সময়ে আমার মনে আছে শচীন ক্রিকেট ছেড়ে দিতে চেয়েছিল।"

এরপরে প্রোটিয়াজ কোচ আরো জানান, "শচীন মনে করত, ও ব্যাটিং পজিশন সঠিক ছিল না। ক্রিকেটটা আর উপভোগই করছিল না ও। তারপরে তিন বছরে ১৯তা আন্তর্জাতিক শতরান হাঁকায় শচীন। নিজের পছন্দের ব্যাটিং পজিশনে ব্যাটিং করে বিশ্বকাপও জেতে।"

দূতাবাসে একোস্টা:

বিশ্বকাপে খেলেছেন। নেইমারদের বিরুদ্ধে খেলারও অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাঁকে যে যেভাবে ভারতে এসে আতান্তরে পরে যেতে হবে। ভাবতেও পারেননি। বেতন পাননি, থাকার কোনো জায়গা নেই। বাড়িতে ফেরার ফ্লাইট টিকিটও নেই। জনি একোস্টা আপাতত মাথা গোজার ঠাঁই হিসাবে বেছে নিয়েছেন নয়া দিল্লির কোস্টারিকার এমব্যাসি।

একোস্টার ম্যানেজার হোসে লুইজ রদ্রিগেজ সরাসরি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে জানিয়ে দিলেন, খুবই খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে ক্লাবের তরফ থেকে। চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই ছেঁটে ফেলা হয়েছে। সময়ের আগেই ফ্ল্যাট খালি করে দেশে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে বেতনের দুমাসের টাকা এবং ফ্লাইটের টিকিটও দেওয়া হয়নি।

রদ্রিগেজ আপাতত ক্ষোভে ফুঁসছেন। বলে দিয়েছেন, ক্লাবের বিরুদ্ধে সরাসরি ফিফায় যাবেন তারা। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে দায় ঝেড়ে ফেলার ইঙ্গিত। বলা হয়েছে, ফুটবলারের চুক্তি ছিল ক্লাবের প্রাক্তন ইনভেস্টরের সঙ্গে।

ক্ষমা চাইলেন সিএসকে চিকিৎসক

অবশেষে ক্ষমা চাইলেন সিএসকের টিম ডাক্তার মধু থোট্টাপিলিল। সেনা জওয়ানের মৃত্যুর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে কুরুচিকর আক্রমণ করেছিলেন সিএসকে চিকিৎসক। টুইটারে সেই পোস্ট ভাইরাল হতেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল তাঁকে। তারপরে ক্ষমা চেয়ে তিনি টুইটারে জানিয়ে দেন, "১৬ জুন একটি টুইট করি। পরে বুঝতে পারি আমার শব্দ একদমই যথার্থ নয় এবং অনিচ্ছাকৃত। আমি টুইট ডিলিট করে দিলেও, আমার টুইটের স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যায়।"

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগকে হেয় করার কোনো ইচ্ছাই যে তাঁর ছিল না, তাও স্পষ্ট করেন তিনি, "মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেভাবে দেশের নাগরিক, সেনাদের জন্য পাহাড়সম কাজ করে চলেছেন তা কলুষিত করার কোনো অভিপ্রায় ছিল না। কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে মহামারী মোকাবিলায় কাজ করে চলেছে এবং প্রতিকূল পরিস্থিতিতে যেভাবে সেনা জওয়ানরা সীমান্ত রক্ষা করছেন তা সবসময় প্রশংসা করে এসেছি।" এরপর ক্ষমা চাওয়ার সুরে বলেছেন, আমার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসাবে দেখা হোক।আমার টুইটে সবাইকে আঘাত দিয়েছি, এতে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।

সাহায্য স্টিভের ম্যানেজারের

বিসিসিআইয়ের তরফে এখনো সেরকম কিছু আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়নি। তবে ভারতের প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারদের জন্য এবার এগিয়ে এলেন স্বয়ং স্টিভ স্মিথ। করোনার কারণে দেশে সমস্ত খেলাই বন্ধ। বেজায় বিপাকে পড়েছেন ক্লাব স্থানীয় ক্রিকেটাররা। সেই সঙ্গে বেঁচে থাকাই কার্যত সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারদের। তাদের জন্যই এবার অভিনব উদ্যোগ স্টিভ স্মিথের।

কিংবদন্তি অজি ক্রিকেটারের ম্যানেজার হার্লে মেডকাফ দেড় লাখ টাকা অনুদান সংগ্রহ করেছেন সাহায্যের জন্য। বুধবারই প্রতিবন্ধী ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সচিব রবি চৌহান জানান, সংস্থার অধীনে থাকা প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারদের অর্থ সাহায্য করবেন স্টিভ ওয়ার ম্যানেজার মেডকাফ।

একটি ক্রিকেট প্রজেক্টের জন্য সেমিনারে এসে ক্রিকেটারদের কাছ থেকেই প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারদের সংস্থা পিসিসিএআই-য়ের বিষয়ে জানতে পারেন স্টিভ ওয়া এবং তাঁর ম্যানেজার।

তিনি বলেছিলেন, "পিসিসিএআই-য়ের (প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারদের সংস্থা) মাধ্যমে যখন মেডকাফ জানতে পারেন বেশ কিছু প্রতিবন্ধী ক্রিকেটার কীভাবে আর্থিক সমস্যায় দিন কাটাচ্ছেন, তখন উনি তহবিল তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। এই তহবিলে অনেকেই সাহায্য করেছেন। দেড় লাখ টাকা এখনো পর্যন্ত উঠেছে। এই অর্থ সবথেকে দুঃস্থ ৩০ জনের একাউন্টে ট্রান্সফার করে দেওয়া হয়েছে।"

cricket Sachin Tendulkar
Advertisment