দিনক্ষণ ঠিক ছিলই। সেই মতো প্রস্তুতিও সাড়া হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আচমকাই যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত। মঙ্গলবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে জানান হয়েছে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে সাত জন পাক ক্রিকেটার।
প্রসঙ্গত ২৮ জুন ইংল্যান্ড সফরে যাওয়ার কথা ছিল পাকিস্তান ক্রিকেট দলের। এই সাত পাক ক্রিকেটাররা হলেন, কাশিফ ভাট্টি, মহম্মদ হাশনায়েন, ফক্কর জমান, মহম্মদ রিজওয়ান, মহম্মদ হাফিজ, ওয়াহাব রিয়াজ এবং ইমরান খান।
এই সফরের আগে ২৯ জন সদস্যর নাম ঘোষণা করেছিল পাক ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। ইতিমধ্যেই প্লেয়ারদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার বিধি জারি করেছে বোর্ড। ইংল্যান্ড সফরে ৩টি টেস্ট এবং তিনটি টি-২০ খেলার কথা ছিল তাঁদের।
খেলার অন্যান্য খবরগুলি পড়তে থাকুন নীচে
করোনায় আক্রান্ত বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচ
এবার করোনায় আক্রান্ত বিশ্বের একনম্বর টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচ। সার্বিয়া এবং ক্রোয়েশিয়া দ্বারা আয়োজিত আদ্রিয়া টুরে খেলার কথা ছিল তাঁর।
১৭ বার গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা বিশ্বের একনম্বর টেনিস তারকা মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানান যে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী এলেনা রিস্টিচও করোনায় আক্রান্ত। তিনি বলেন, "আমরা যখন বেলগ্রেডে আসি তখনই আমাদের করোনা পরীক্ষা করা হয়। আমার এবং আমার স্ত্রী'র রিপোর্ট পজিটিভ আসে। যদিও আমাদের বাচ্চাদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।"
নোভাক জোকোভিচ জানান ১৪ দিন তিনি নিভৃতবাসে থাকবেন। দিন পাঁচেক পরে আবার পরীক্ষা করবেন। যদিও এতদিন তাঁর শরীরে করোনার কোনও উপসর্গ ছিল না।
খেলার অন্যান্য খবরগুলি পড়তে থাকুন নীচে,
সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে শ্রীসন্থ:
অন্ধকার ভয় করতেন। আত্মহত্যার চিন্তাও মাথায় এসেছিল। গভীর অবসাদে ভুগতেন তিনি। সুশান্ত সিং রাজপুতের অকাল প্রয়াণের পর নিজের তুলনা এনে শান্তাকুমারন শ্রীসন্থ জানালেন অবসাদ মানুষকে শেষ করে দেয়।
সুশান্ত সিংয়ের আত্মহত্যার ঘটনা এখনো টাটকা। প্রতিভাবান অভিনেতার অকাল প্রয়াণে গোটা দেশ জুড়েই কার্যত ঝড় বয়ে গিয়েছে। তারপরেই মুখ খুললেন শ্রীসন্থ। ডেকান ক্রনিকলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়ে দিলেন, "একসময়ে অন্ধকার দেখলেই আঁতকে উঠতাম। বাড়ির বাইরেই বেরোতাম না। পরিবারের কাউকেও রাস্তায় বেরোতে দিতাম না। আমার ভয় হত আমাদের কেউ অপহরণ করে ফেলতে পারে। সেই সময় গভীর অবসাদে ভুগছিলাম।"
কতটা সমস্যায় ছিলেন তিনি সেকথা জানাতে গিয়ে স্পিডস্টার আরো জানান, "ঘরে বসে একলা অবসাদে ভুগতাম। তবে ঘর ছেড়ে বেরনোর সময় মুখে হাসি রাখতেই হত। কারণ তা না হলে বাবা মা সেটা সহ্য করতে পারবেন না। ওদের কাছে নিজের দুর্বলতা দেখাতে চাইতাম না।"
নিজের ঘটনার সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়েছেন সুশান্ত সিং রাজপুতের। সেই সাক্ষাৎকারে তারকা পেসার বলেছেন, "শুধু বন্ধু হওয়ার কারণেই নয়, এই কারণেও সুশান্তের মৃত্য আমাকে এতটা নাড়া দিয়ে গিয়েছে। আমি একদম সীমানায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। তবে আমি ফিরে আসি একটাই কারণে। আমি জানতাম, যাঁরা আমার উপর বিশ্বাস করে তাদের কতটা প্রয়োজন আমাকে।"
সৌরভের নেতা শচীনের জন্য
শচীন জাতীয় দলের নেতৃত্বের দায়িত্ব নিতে চায়নি বলেই যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ক্যাপ্টেনশিপের হটসিটে বসানো হয়েছিল, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সেই কথাই এবার কনফার্ম করে তৎকালীন নির্বাচক প্রধান চাঁদু বোরদে জানালেন কীভাবে সৌরভের রাজ্যভিষেক ঘটেছিল। তিনি জানান, শচীনকে নেতৃত্ব চালিয়ে যাওয়ার জন্য জোরাজুরি করলেও লিটল মাস্টার ব্যাটিংয়ে নজর দিতে চেয়েছিলেন।
এক সংবাদসংস্থাকে চাঁদু বোরদে জানিয়েছেন, "শচীনকে ক্যাপ্টেন করে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানো হয়েছিল। তবে ওখান থেকে ফিরে আসার পর শচীন নেতৃত্বে আর রাজি হয়নি।"
স্পোর্টসক্রীড়াকে তিনি জানিয়েছেন, "আমরা একটা নতুন প্রজন্ম এবং একটা নতুন ক্যাপ্টেন খুঁজছিলাম। সেই কারণে বেশ কিছুদিন শচীনকে নেতা থাকার কথা বলি আমরা। তবে শচীন বলেছিল ও নিজের ব্যাটিংয়ে বেশি ফোকাস করতে চায়।"
শচীন আরো জানিয়েছিলেন, "দলের হয়ে প্রত্যাশা মত খেলতে পারছি না। তাই পুরোপুরি নিজের ব্যাটিংয়েই মনোনিবেশ করতে চাই। শেষ পর্যন্ত, সৌরভকেই নেতা বানাতে হয়।"
করোনার কোপে তিন পাক ক্রিকেটার
ইংল্যান্ড বনাম পাকিস্তান সিরিজের মাধ্যমেই ক্রিকেট মাঠে বল গড়ানোর কথা ছিল। চলতি মাসের ২৮ তারিখেই ইংল্যান্ডগামী বিমানে উঠতেন পাক ক্রিকেটাররা। তার আগেই দুঃসংবাদ আছড়ে পড়ল ক্রিকেট মহলে। ইংল্যান্ডগামী পাক দলের তিনজন ক্রিকেটারের শরীরে করোনা ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে।
পিসিবি সোমবার জানায়, সাদাব খান, হ্যারিস রউফ এবং হায়দার আলির করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ ধরা পড়েছেন। পাক ক্রিকেট বোর্ডের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, "পিসিবির চিকিৎসকরা ক্রিকেটারদের দায়িত্বে রয়েছেন। আপাতত সেই ক্রিকেটারদের সেল্ফ আইসলেশনে পাঠানো হয়েছে।"
করোনা আক্রান্ত এই তিন ক্রিকেটারের মধ্যে সাদাব খানই একমাত্র পাক জাতীয় দলের নিয়মিত ক্রিকেটার। হ্যারিস রউফ দেশের হয়ে মাত্র দুটো টি২০ খেলেছেন। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই জাতীয় দলে অভিষেক হওয়ার কথা প্রতিশ্রুতিমান হায়দার আলির।
প্রোটিয়াজ ক্রিকেটে করোনা
একসঙ্গে অনেক টেস্ট করা হয়েছিল। তারপরেই মাথায় হাত ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার। সংস্থার সাত জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। সোমবারই একথা জানায় ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা।
দেশের সব ক্রিকেট সংস্থার কর্মী, বেশ কিছু চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার, ফ্র্যাঞ্চাইজির ট্রেনিং স্কোয়াড সদস্যদের র্যান্ডম করোনা পরীক্ষা করা হয়। কিছুদিন আগেই দক্ষিণ আফ্রিকান সরকার ঘোষণা করে বডি কন্টাক্ট নয়, এমন খেলা শুরু করা যেতে পারে। তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউনের শুরুতে এমন ঘোষণা করার পরেই দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট সংস্থার তরফে র্যান্ডম পরীক্ষার। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপরই জানানো হয়, সেই পরীক্ষাতেই সাতজনের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।
সংস্থার সিইও জ্যাকুয়েস ফাউল বলেন, "আমরা জানতাম, পরীক্ষায় বেশ কয়েকজন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যাবে। ১০০ জনের মধ্যে সাত জন- সংখ্যাটা কিন্তু বেশ কমই!" যদিও তিনি খোলসা করে জানাননি কোনো ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত কিনা। তাঁর যুক্তি, "আমাদের মেডিক্যাল প্রটোকল অনুযায়ী করোনা সন্ধান পাওয়া ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করা উচিত নয়।"
দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড অভিনব টুর্নামেন্ট থ্রি টি টুর্নামেন্টের মাধ্যমে ক্রিকেট শুরু করার পরিকল্পনায়। যেখানে তিনটে দল একসঙ্গে পরস্পরের মুখোমুখি হবে সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্টস পার্কে। ২৮ তারিখে সেই টুর্নামেন্ট চালু হওয়ার আগেই করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলায় আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেই টুর্নামেন্ট।
অভিযোগ ক্যারিবিয়ান কোচের
কিছুদিন আগেই আকাশ চোপড়া জানিয়েছিলেন, কীভাবে ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার সময় বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছিলেন তিনি। একইভাবে এবার ইংল্যান্ডে বর্ণবিদ্বেষের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ফিল সিমন্স। তিনি জানান, ইংল্যান্ডে লিগ ক্রিকেটে খেলার সময় তিনি বৈষম্যের শিকার হন। যদিও তিনি জানাননি, কোন লিগে তাকে হেনস্থা করা হয়।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আমি বেশ বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়েছিলাম লিগ ক্রিকেটে। কাউন্টি ক্রিকেটে সেভাবে কিছু হয়নি। তবে লিগ ক্রিকেটে হয়েছিল। এমন বিদ্বেষের মোকাবিলা করা মোটেই সহজ নয় যখন আমরা নিজেদের মধ্যেই থাকি। এই ঘটনা আমার স্ত্রীকেও প্রভাবিত করেছিল। ইংল্যান্ডে তিন-চার ধরণের লিগ ক্রিকেট খেলি। নর্থ ইস্টের একটা লিগেই এমন কাণ্ড ঘটে।"
সংশয়ে বক্সিং ডে টেস্ট
অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া প্রদেশে করোনা সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী। সেই কারণেই এবার ভারতের বিরুদ্ধে মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্ট সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন অজি টেস্ট দলের অধিনায়ক টিম পেইন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটে ভিডিও বার্তায় অজি নেতা বলেছেন, "একজন ক্রিকেটারের দৃষ্টি থেকে সবসময়েই বক্সিং ডে টেস্টে ভরা স্টেডিয়ামে সেরা ভেন্যুতে আমরা খেলতে চাই। বক্সিং ডে তে, এমসিজি তে খেলার ব্যাপারই আলাদা। আশা করি সবকিছু ঠিকঠাক চললে এমসিজিতেই দেখা যেতে পারে আমাদের। অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বমানের স্টেডিয়ামের অভাব নেই। যদি কোনো কারণে ভেন্যু বদলাতেও হয়, তাহলেও আমাদের কাছে একাধিক অপশন রয়েছে।"
গত কয়েক সপ্তাহ ভিক্টোরিয়া প্রদেশে বেশ কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাই বক্সিং ডে টেস্ট মেলবোর্ন থেকে পার্থে নিয়ে যাওয়ায় পক্ষপাতী ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও। যদি একান্তই পার্থেই ভেন্যু বদলাতে হয়, তাহলে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে অপটাস স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজন করা হতে পারে।