আইপিএলের খেলতে এসে খারাপ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন, জানিয়ে দিলেন ক্যারিবিয়ান তারকা ড্যারেন স্যামি। এদিকে, আইপিএল আয়োজনে তৎপর হল ইউএই ক্রিকেট বোর্ড। হার্দিক পান্ডিয়া টেস্টে ভারতের ট্রাম্প কার্ড, বলছেন ইয়ান চ্যাপেল। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা দাঁড়ালেন আমফান বিধস্তদের পাশে। কেন উইলিয়ামসন বিরাটকে নিয়ে মুখ খুললেন আবার।
আইপিএলে ভয়ঙ্কর অভিযোগ আনলেন স্যামি
আইপিএল খেলতে এসে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হতে হয়েছে। এমনই মারাত্মক অভিযোগ আনলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা ড্যারেন স্যামি। জর্জ ফ্লোয়েড ইস্যুতে যখন গোটা বিশ্ব তোলপাড় সেই সময়েই আইপিএলের খারাপ দিক তুলে আনলেন ক্যারিবিয়ান তারকা। তিনি নিজের ইনস্টাগ্রাম একাউন্টে লেখেন, 'কালু' শব্দের অর্থ তিনি এতদিন বুঝেছেন। তাঁর ধারণা ছিল 'কালু' শব্দের অর্থ বলশালী কালো ক্রিকেটার! তবে তাঁর ভুল ভেঙে গিয়েছে। ড্যারেন স্যামি নিজের ইন্সটাগ্রাম স্টোরিতে শনিবার লেখেন, "ও কালু শব্দের মানে তাহলে এটা। যা বলে ওরা আমাকে আর থিসারা পেরেরাকে ইন্ডিয়াতে সানরাইজার্স এ খেলার সময় ডাকত। আমি এতদিন ভাবতাম এটার অর্থ কালো শক্তিশালী মানুষ। তবে এটা জানার পরে বেশ খারাপ লাগছে।"
আইপিএল আয়োজন করতে ইচ্ছুক আমিরশাহি
করোনার কারণে আইপিএল আয়োজনের প্রস্তাবের কথা স্বীকার করে নিল এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড। জানিয়ে দিল, ভারতীয় বোর্ড চাইলে আইপিএল আমিরশাহীতে আয়োজন করতেই পারে। আইপিএলের ১৩তম সংস্করণ মার্চেই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল তবে বিশ্বজনীন স্বাস্থ্যসংকটের মধ্যে আইপিএল অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গিয়েছে। এর ঠিক সময়ে আইপিএল আয়োজন না করা গেলেও অক্টোবর-নভেম্বরের উইন্ডোতে আইপিএল আয়োজনের কথা বিবেচনা করছে বিসিসিআই। সেই সময়ে টি২০ বিশ্বকাপ হওয়ার কথা। সেই টুর্নামেন্ট স্থগিত করে দেওয়া হতে পারে। সেই সময়েই হতে পারে আইপিএল। দুবাইয়ের গালফ নিউজ এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউএই ক্রিকেট বোর্ডের তরফে বিসিসিআইয়ের কাছে আইপিএল আয়োজনের সরকারিভাবে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেই সংবাদপত্রে ইউএই ক্রিকেট বোর্ডের সচিব মুবাসশির উসমানী জানিয়েছেন, "অতীতে সাফল্যের সঙ্গে আমিরশাহি আইপিএল আয়োজন করেছে। তাছাড়া নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসাবে বহু দ্বি-পাক্ষিক, মাল্টি নেশন টুর্নামেন্টও আয়োজন করেছে। আমাদের ভেন্যু ও সুযোগ সুবিধা সমস্ত ধরণের ক্রিকেট আয়োজনের জন্য উপযুক্ত।" পাশাপাশি উসমানী জানিয়েছেন, ইংল্যান্ডকে নিজেদের ক্রিকেট মরশুম আমিরশাহিতে শেষ করার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টে হার্দিককে চান চ্যাপেল
বছর শেষে অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতের উচিত হার্দিক পাণ্ডিয়াকে নিয়ে আসা। ওই হতে পারে সিরিজের এক্স ফ্যাক্টর। এমনটাই মনে করছেন অস্ট্রেলীয় কিংবদন্তি ইয়ান চ্যাপেল। অস্ট্রেলিয়ার মত শক্ত দলের বিরুদ্ধে হার্দিক ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারেন। ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইয়ান চ্যাপেল জানিয়েছেন, "যদি হার্দিক পান্ডিয়াকে পাওয়া যায়, তাহলে সেটা ইন্ডিয়ার জন্য প্লাস পয়েন্ট হতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের বিরুদ্ধে বাকি পেসাররা বিশ্রামে গেলে হার্দিককে ব্যবহার করতে পারবে ভারত। সিডনিতে তৃতীয় টেস্টে খেলার আগে বিল্ড আপ সিমারের ভূমিকায় মানিয়ে নিতে পারে। সিডনিতে ওকে তৃতীয় সিমার হিসাবে খেলিয়ে দ্বিতীয় স্পিনার হিসাবে অন্য কাউকে ব্যবহার করার অপশন থাকবে।" ২০১৮ সালের পর হার্দিক আর টেস্ট খেলেননি। পিঠের চোট সারিয়ে কিছুদিন আগেই ফিরেছেন। বিগ হিটার এই সিমার অলরাউন্ডার সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতের অন্যতম প্রধান তারকা।
কোহলি ও ভাগ্যবান উইলিয়ামসন
কোহলির পাশে খেলার সুযোগ পাওয়ায় ভাগ্যবান। বাচ্চাবেলা থেকেই তিনি কোহলির খেলা লক্ষ্য করে আসছেন। এমনটাই জানালেন এবার কেন উইলিয়ামসন। স্টার স্পোর্টসের ক্রিকেট কানেক্টেড অনুষ্ঠানে এসে কিউই নেতা জানিয়ে দেন, "আমরা পরস্পরের বিরুদ্ধে খেলতে পারায় ভাগ্যবান। কেরিয়ারের শুরু থেকে কোহলির খেলার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। সেই যাত্রা ভালভাবে লক্ষ্য করে এসেছি।"
২০০৮ সালে কোহলি ও উইলিয়ামসন অনুর্দ্ধ-১৯ বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছিলেন। যুব পর্যায়ের সেই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। কোহলির নেতৃত্বে। সেই সংস্করণেই কোহলির টিম ইন্ডিয়া সেমিফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে কোহলি, উইলিয়ামসন ছাড়াও খেলেন রবীন্দ্র জাদেজা, ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদির মত তারকারা।
কোহলির কাছে সেই হারের বদলাই কার্যত নিয়েছিলেন গত বছরের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। ভারতকে হারিয়ে। দেশকে প্রথমবার বিশ্বকাপের ফাইনালে তোলেন কেন উইলিয়ামসন।
আমফান দুর্গতদের পাশে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা
সাইক্লোন আমফানের দুর্গতদের সেবার জন্যই বেনজির দৃষ্টান্ত স্থাপন করল ইস্টবেঙ্গলের এক ফ্যান ক্লাব। ইস্টবেঙ্গল দ্য রিয়েল পাওয়ার, পূর্বতন নানান সামাজিক কার্যকলাপের অতীত ইতিহাসকে স্মরণে রেখেই অন্যান্যবারের ন্যায় এবারেও বিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সংকল্পে ব্রতী হলেন ফ্যান ক্লাবের সদস্যরা।
গত ২৪শে মে, ২০২০ ইবিআরপি-র তরফ থেকে “CTRL+Z BENGAL” প্রকল্প শুরু করা হয়, যার মাধ্যমে ত্রাণকার্যের জন্য অর্থসংগ্রহ শুরু হয়। আপামর ইস্টবেঙ্গলী জনতার মধ্য থেকে অভূতপূর্ব এবং স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া মেলে, এবং মাত্র ৯৬ ঘন্টার মধ্যে এক লক্ষেরও বেশী টাকা যোগাড় করতে সমর্থ হয় ইস্টবেঙ্গল দ্য রিয়েল পাওয়ার।
সেই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের সহায়তায় ও পরিচালনায় দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার কুলতলি ব্লকের গরানকোটি গ্রামে চলা কমিউনিটি কিচেনের পাঁচশোরও অধিক মানুষের জন্য দুদিন ধরে দুবেলা, অর্থাৎ মোট ২০০০ প্লেট অন্নসংস্থানের ব্যবস্থা করে ময়দানি ফুটবলে নজির তৈরি করে তাঁরা।