সপাটে চড় খেয়েছিলেন গালে। তাও আবার জাতীয় দলের সতীর্থের কাছ থেকে। যার থেকে চড় হজম করেছিলেন সেই হরভজন সিংকে যাতে বোর্ড শাস্তি না দেয়, সেইজন্য বিসিসিআইয়ের কাছে ভিক্ষাও চান তিনি। অদ্ভুত হলেও এমন ঘটনার কথা জানালেন শান্তকুমারন শ্রীসন্থ। চলতি বছরেই নির্বাসন শেষ হচ্ছে কেরলের তারকা বোলারের। মাঠে ফেরার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন তিনি। এর মধ্যেই পুরোনো ঘটনার কথা ফের একবার প্রকাশ্যে নিয়ে এলেন শ্রীসন্থ।
স্পট ফিক্সিং কাণ্ডের আগেই বড়সড় বিতর্কে জড়িয়েছিলেন স্পিডস্টার। কিংস ইলেভেন বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচে শ্রীসন্থকে থাপ্পড় মারেন ভাজ্জি। তারপরে হরভজনের যাতে কোনো শাস্তি না হয়, সেইজন্য বিসিসিআইয়ের কাছে তদ্বির করেন নাকি শ্রীসন্থই।
ক্রিকেট এডিক্টরের ফেসবুক পেজ লাইভে এসে শ্রীসন্থ বলছিলেন, "সেই ঘটনার পর এমনও সময় এসেছিল যখন আইপিএল কমিশনারের কাছে আমি কার্যত কাঁদতে কাঁদতে ভিক্ষা চাই যাতে হরভজনের কোনো শাস্তি না হয়।"
কেন ভাজ্জি তাকে চড় মেরেছিলেন, তা-ও খোলসা করে বলেছেন তিনি, "আমি বদমাশ ছিলাম। ভাজ্জি পা আউট হয়ে গেলেই ওঁকে রাগতাম। তবে আমি বুঝতে পারিনি ও সেদিন অন্য মুডে ছিল। ঘটনার ওর শচীন এগিয়ে আসে। আমাদের মধ্যে মধ্যস্থতা করারও প্রস্তাব দেয় ও। সেদিনই আমরা একসঙ্গে ডিনার সারি। তবে মিডিয়া বিষয়টাকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেয়।"
জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন হরভজন। ম্যাচ উইনারও। তাই ভাজ্জি কোনোভাবেই যাতে শাস্তি না পান, সেটাই নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন শ্রীসন্থ।
শ্রীসন্থ জানান, নিজেদের মধ্যে তারা বিষয়টি মিটিয়ে ফেলেন সেদিন রাত্রেই। হরভজনও তাঁকে পরে কঠিন সময়ে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। শ্রীসন্থ বলেন, "আমাদের মধ্যে নিয়মিত কথা হয়। শেষ সাত বছরে কঠিন সময়ে হরভজনই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। ২০১৮-এ দলীপ ট্রফি খেলতে যখন উত্তরাঞ্চল কেরালায় খেলতে এসেছিল, সেই সময় আমি হরভজন, গৌতম গম্ভীর এবং বীরেন্দ্র শেওয়াগের সঙ্গে দেখা করি।"