সাত বছরের নির্বাসন খতম হতে চলেছে। তাই এবার ক্রিকেট মাঠে ফেরার প্রস্তুতি চালু করে দিলেন শান্তাকুমারন শ্রীসন্থ। আইপিএলে স্পট ফিক্সিং করার দায়ে শ্রীসন্থ এবং রাজস্থান রয়্যালসের আরো দুই টিম মেটকে আজীবন নির্বাসনে পাঠায় বিসিসিআই। গত বছর সেই নির্বাসনের মেয়াদ কমে দাঁড়ায় সাত বছরে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সেই নির্বাসন পর্ব শেষ হবে।
কেরালা রঞ্জি দলে শ্রীসন্থকে দেখা যেতে পারে আসন্ন মরশুমে। সংবাদসংস্থাকে শ্রীসন্থ জানিয়েছেন, "সরকারি নির্দেশ আসবে সেই সেপ্টেম্বরে। আপাতত ট্রেনিং শুরু করেছি। কেরালা ক্রিকেট সংস্থার সচিব থেকে ডিরেক্টর প্রত্যেকেই আমার পাশে রয়েছে। নির্বাচক এবং ক্রিকেটাররাও আমাকে চান। মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। এটা খুব স্পষ্ট যে আমি টিমে থাকবোই। সরকারি ঘোষণার পর নির্দেশ মেনে কাজ করব।"
৩৭ বছরের তারকা পেসার জানাচ্ছেন, শেষ বার যখন মাঠে খেলেছিলেন, সেই সময় থেকে এখনকার ক্রিকেট অনেক বদলে গিয়েছে। "এটা মোটেই কেরিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংস হিসাবে দেখছি না। সাত বছর ক্রিকেটকে মিস করেছি। শেষবার যখন ক্রিকেট খেলি তখন থেকে অনেক বদলে গিয়েছে খেলা। জাতীয় দলের জার্সিতে যখন খেলতাম সেই স্মৃতি এখনো মনে রয়েছে।"
করোনা পরবর্তী সময়ে ক্রিকেটে আসতে চলেছে একাধিক পরিবর্তন। সবথেকে বড় বিষয় হল ভাইরাস সংক্রমণ আটকানোর জন্য লালা ব্যবহার করা যাবে না। শ্রীসন্থ এই বিষয়ে বলছিলেন, "লালা না ব্যবহার করা গেলেও ঘাম লাগানো যাবে। ক্রিকেট সংক্রান্ত যে সিদ্ধান্ত আইসিসি নিয়েছে তা সম্মান করতেই হবে। কাউন্টিতে যখন খেলতাম, তখন শিখেছি বল কীভাবে ধরে রাখতে হয়। বল কীভাবে শুকনো রাখতে হয়।"
এরপর শ্রীসন্থ এর সংযোজন, "একদিক থেকে ভালোই লাগছে। এখন কেবলমাত্র স্কিলফুল বোলাররাই পারফর্ম করতে পারবে। পুরোনো নিয়ম থেকে সরিয়ে নতুন জিনিস আয়ত্ত্ব করতে হবে। সফল হতে হলে নতুন কিছু শিখতে হবে। সময়ের প্রয়োজনেই নতুন জিনিস মানিয়ে নিতে হবে। পুরোটাই অনুশীলনের বিষয়। ক্রিকেটাররা ঠিক এই বিষয়ে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে।"