অন্ধকার ভয় করতেন। আত্মহত্যার চিন্তাও মাথায় এসেছিল। গভীর অবসাদে ভুগতেন তিনি। সুশান্ত সিং রাজপুতের অকাল প্রয়াণের পর নিজের তুলনা এনে শান্তাকুমারন শ্রীসন্থ জানালেন অবসাদ মানুষকে শেষ করে দেয়।
সুশান্ত সিংয়ের আত্মহত্যার ঘটনা এখনো টাটকা। প্রতিভাবান অভিনেতার অকাল প্রয়াণে গোটা দেশ জুড়েই কার্যত ঝড় বয়ে গিয়েছে। তারপরেই মুখ খুললেন শ্রীসন্থ। ডেকান ক্রনিকলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়ে দিলেন, "একসময়ে অন্ধকার দেখলেই আঁতকে উঠতাম। বাড়ির বাইরেই বেরোতাম না। পরিবারের কাউকেও রাস্তায় বেরোতে দিতাম না। আমার ভয় হত আমাদের কেউ অপহরণ করে ফেলতে পারে। সেই সময় গভীর অবসাদে ভুগছিলাম।"
কতটা সমস্যায় ছিলেন তিনি সেকথা জানাতে গিয়ে স্পিডস্টার আরো জানান, "ঘরে বসে একলা অবসাদে ভুগতাম। তবে ঘর ছেড়ে বেরনোর সময় মুখে হাসি রাখতেই হত। কারণ তা না হলে বাবা মা সেটা সহ্য করতে পারবেন না। ওদের কাছে নিজের দুর্বলতা দেখাতে চাইতাম না।"
২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য আইপিএলে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে ধরা পড়ার পর আজীবন নির্বাসিত হন। তবে গত বছর আদালতের নির্দেশে সেই নির্বাসন সাত বছর কমিয়ে আনা হয়। নিষেধাজ্ঞার সেই মেয়াদ চলতি বছরেই ফুরোনোর কথা। তারপর মাঠে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারকা পেসার।
নিজের কঠিন সময়ের কথা জানিয়েই শ্রীসন্থ এবার নিজের বই ও লিখছেন। "সেই সময়ে নিজের মধ্যেই থাকতাম। এক একাই কাঁদতে কাঁদতে বুঝতে চেষ্টা করতাম কিভাবে এমনটা হল। কার্যত দ্বৈত জীবন যাপন করতাম সেইসময়। গোটা বিশ্বের কাছে আমি ছিলাম শ্রীসন্থ কিন্তু পরিবারের কাছে আমি ছিলাম গোপু। আমি নিজেই জানতাম না কোন আমি টা সত্যিই আমি! সেই কারণেই নিজের শখ, হবি নিয়ে সিরিয়াসলি কাজ করতে থাকি। ২০১৩ বছর আমাকে শেষ করে দিয়েছিল। তবুও পরিবারের কথা ভেবে নিজেকে শান্ত রাখি। কারণ জানতাম, আমাকে আমার পরিবারের প্রয়োজন রয়েছে।"
নিজের ঘটনার সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়েছেন সুশান্ত সিং রাজপুতের। সেই সাক্ষাৎকারে তারকা পেসার বলেছেন, "শুধু বন্ধু হওয়ার কারণেই নয়, এই কারণেও সুশান্তের মৃত্য আমাকে এতটা নাড়া দিয়ে গিয়েছে। আমি একদম সীমানায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। তবে আমি ফিরে আসি একটাই কারণে। আমি জানতাম, যাঁরা আমার উপর বিশ্বাস করে তাদের কতটা প্রয়োজন আমাকে।"