আইপিএলে কোনো দল নেয়নি। কার্যত ব্রাত্য করে দেওয়া হয়েছে ক্রোড়পতি লিগে। তারপরেই বল হাতে মোক্ষম জবাব দিলেন শান্তকুমারন শ্রীসন্থ। আট বছর পর লিস্ট-বলে ক্রিকেটে খেলতে নেমে একাই পাঁচ উইকেট দখল করলেন।
বিজয় হাজারে ট্রফিতে কেরালার সঙ্গে খেলা ছিল উত্তরপ্রদেশের। সেই ম্যাচেই কেরালা পেস আক্রমণকে নেতৃত্ব দিয়ে জ্বলে উঠলেন শ্রীসন্থ। ম্যাচের ২১তম ওভারে তারকা পেসারের শিকার হন ওপেনার অভিষেক গোস্বামী। তারপর ডেথ ওভারে বোলিং করতে এসে শ্রীসন্থ আরো চার উইকেট দখল করেন। ৪৮ ওভারে পরপর আউট করেন মহসিন খান, ভুবনেশ্বর কুমারকে। একদম শেষ ওভারে তুলে নেন আরো দুই উইকেট। ওভারের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বলে আউট করেন অক্ষদীপ নাথ এবং শিবম শর্মাকে।
আরো পড়ুন: মনীশ পান্ডের আন্তর্জাতিক কেরিয়ার প্রায় শেষ! ঠিক হয়ে গেল শনিবারই
কেরিয়ারের এটাই শ্রীসন্থের দ্বিতীয় পাঁচ-উইকেট শিকার। শ্রীসন্থ ছাড়া শচীন বেবিও দুই উইকেট নেন। কেরালা পেসার বল হাতে দুরন্ত পারফরম্যান্স করলেও উত্তরপ্রদেশ স্কোরবোর্ডে বড় রান খাড়া করেছিল। প্রিয়ম গর্গ (৫৭) এবং অক্ষদীপ নাথের (৬৮) হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে উত্তরপ্রদেশ ২৮৩ তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুই বল বাকি থাকতে জয় ছিনিয়ে নেয় কেরালা। ব্যাট হাতে মারকাটারি পারফরম্যান্স করে গেলেন রবিন উথাপ্পা (৫৫ বলে ৮১) এবং শচীন বেবি (৭৬)।
যাইহোক, চলতি মরশুমে আইপিএল খেলতে ইচ্ছুক ছিলেন শ্রীসন্থ। নিলামের জন্য নাম নথিভুক্তও করেছিলেন। তবে প্রাথমিক পর্বেই বাদ পড়ে যান তিনি। মূল নিলামে আসার আগে কোনো দলই তাকে শর্টলিস্ট করেনি। তাই নিলামেই চড়তে পারলেন না কেরালা পেসার। তবে এখনো আইপিএলে সুযোগ পেতে পারেন তিনি। কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি চোট পাওয়া বোলারের পরিবর্ত হিসাবে সই করাতে পারে তাঁকে।
সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে নজর কাড়ার পর শ্রীসন্থ বিজয় হাজারে ট্রফিতেও তাই ফর্ম ধরে রাখতে মরিয়া। জাতীয় দলের জার্সিতে ২৭টি টেস্ট, ৫৩টি ওডিআই এবং ১০টি টি২০ ম্যাচ খেলা শ্রীসন্থ ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রথম শ্রেণি, লিস্ট এ এবং টি২০-তে যথাক্রমে ২১১, ১১৮ এবং ৫২টি উইকেট দখল করেছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন