অবশেষে মুক্ত শান্তাকুমারণ শ্রীসন্থ। রবিবারই স্পট ফিক্সিং কান্ড থেকে নির্বাসন মুক্তি ঘটল জাতীয় দলের একসময়ের তারকা পেসারের। প্রথমে আইপিএলে গড়াপেটার জন্য আজীবন নির্বাসন করা হয়েছিল। পরে সেই নির্বাসন কমিয়ে আনা হয় সাত বছরে।
শ্রীসন্থ আগেই জানিয়েছিলেন, নির্বাসনের মেয়াদ ফুরোনোর পর ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা শুরু করতে চান তিনি। শ্রীসন্থের রাজ্য কেরালাও জানায়, নিজের ফিটনেস প্রমাণ করতে পারলে তাঁকে নেওয়া হবে।
আরো পড়ুন: আইপিএলে এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটার, খেলবেন কেকেআরের জার্সিতে
নির্বাসনের মেয়াদ শেষের ঠিক আগেই শ্রীসন্থ টুইট করেন, "এই মুহূর্তে আমি সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্ত। এখন যে খেলাটাকে আমি সবথেকে বেশি ভালবাসি, সেই খেলাটাই শুরু করতে চাই। অনুশীলনে হলেও প্রতি বলে নিজের সেরাটা দেব। এখনও খুব বেশি হলে আরো ৫-৭ বছর খেলতে পারব। যে দলের হয়েই খেলি না কেন, নিজেকে উজাড় করে দেব।"
ঘটনা হল, অতিমারীর কারণে ঘরোয়া ক্রিকেট কবে চালু হয় তা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে। অগাস্ট থেকেই ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু হওয়ার কথা। তবে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব পুরো সূচি লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। তাই কেরালা শ্রীসন্থকে সুযোগ দিলেও তিনি কবে মাঠে নামতে পারবেন, তা নিয়ে সবাই সন্দিহান।
২০১৩ সালে আইপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত হন তিনি। তাঁর সঙ্গেই বোর্ডের পক্ষ থেকে ব্যান করা হয় অজিত চান্ডিলা, অঙ্কিত চৌহানকে। তারপর তার আজীবন নির্বাসনের মেয়াদ গত বছর কমিয়ে দেন বোর্ডের অম্বুডসম্যান ডিকে জৈন। তিনি বলেন, নিজের সেরা সময় পার করে এসেছেন শ্রীসন্থ। ছয় বছর ইতিমধ্যেই সাজা পেয়েছেন তিনি।
শ্রীসন্থ কিছুদিন আগেই টুইটারে লিখেছিলেন, "আমি কখনো নিজের দলের সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করব না। সেটা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ হলেও।" জাতীয় দলের জার্সিতে একসময়ের তারকা পেসার ২৭টি টেস্ট এবং ৫৩টি ওডিআই ম্যাচ খেলেছেন। উইকেট সংখ্যা যথাক্রমে ৮৭ ও ৭৫। ১০টি টি টোয়েন্টি খেলে ৭টি শিকার তাঁর।
Read the full article in ENGLISH
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন