টেস্ট নয়। আপাতত তিনটি সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলতে পাকিস্তানে রওনা দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা। চলতি বছরের শেষের দিকেই আয়োজিত হতে চলেছে এই সিরিজ। নিরাপত্তা আধিকারিকদের পক্ষ থেকে শ্রীলঙ্কা সরকারের কাছে নিরাপত্তা নিয়ে সদ্ব্যর্থক রিপোর্ট এসেছিল গত সপ্তাহেই। তারপরেই পাকিস্তানে খেলতে যাওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড।
সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী হারিন ফার্নান্দো কলম্বোতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, "এই মুহূর্তে দুটো টেস্ট খেলতে জাতীয় দলকে পাকিস্তানে পাঠানো হচ্ছে না। তবে শ্রীলঙ্কা দল পাকিস্তানে আট দিন থাকবে। এর মধ্যে তিনটি সীমিত ওভারের ম্য়াচ (ওয়ান ডে অথবা টি টোয়েন্টি) খেলবে।" যদিও তিনটে ম্যাচের দিনক্ষণ এখনও জানানো হয়নি।
এর আগে, পাকিস্তান বোর্ডের পক্ষ থেকে শ্রীলঙ্কাকে দুটো টেস্ট ম্যাচ খেলার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেই প্রস্তাব পাওয়ার পরে মোহন ডি সিলভার নেতৃত্বে দুই তরফে শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তা আধিকারিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হাজির হয়েছিল পাকিস্তানে। তারপরেই গত সপ্তাহে শুক্রবার সেই রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জমা দেয়।
আরও পড়ুন টেস্ট ক্রিকেট ফিরতে চলেছে পাকিস্তানে, শ্রীলঙ্কা সফরের সম্ভবনা উজ্জ্বল
তারপরে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের সিইও অ্যাশলে ডি সিলভা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, “নিরাপত্তা দলের কাছ থেকে যে রিপোর্ট আমরা পেয়েছি, তা যথেষ্ট পজিটিভ। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পিসিবি-র সঙ্গে আরও কিছু বিষয়ে আলোচনা চালাতে চাই। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গেও আলোচনা চালানো হচ্ছে।” যাইহোক, শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত দুটো টেস্ট সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে খেলা হতে পারে। যেখানে পাকিস্তান নিজেদের অধিকাংশ হোম টেস্ট সিরিজ খেলে থাকে।
Sri Lanka taking International cricket back to Pakistan, and the people of Pakistan supporting the Sri Lanka cricket team in Lahore Gaddafi stadium, just like in the 1996 World cup final. #BestOf2017 #SriLanka #LKA pic.twitter.com/DHD4DBSIMS
— Daniel Alexander (@daniel86cricket) January 1, 2018
২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কা পাকিস্তানে দুটো টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিল। সেই সময় অধিকাংশ তারকা ক্রিকেটার পাকিস্তানে যেতে অস্বীকার করেছিল। উপুল থরঙ্গা, লাসিথ মালিঙ্গা, নিরোশান ডিকেওয়ালা, আকিলা ধনঞ্জয়, সুরাঙ্গা লাকমলের মতো প্রথমসারির শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটাররা সেই সিরিজ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। সেই সময়ে থিসারা পেরেরার নেতৃত্বে জাতীয় দলের সঙ্গে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী দয়াসিরি জয়শেখারা, শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি থিলাঙ্গা সুমাথিপালা।
২০০৯ সালে সফররত শ্রীলঙ্কান টিম বাসে জঙ্গি হামলার পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তান কার্যত ব্রাত্য হয়ে পড়েছিল। যদিও ২০১৫ সালের পরে সীমিত ওভারের বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করেছিল পাকিস্তান। জিম্বাবোয়ে, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলের বিপক্ষে ঘরের মাঠেই সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলেছিল পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। পাকিস্তান সুপার লিগের বেশ কিছু ম্যাচের পাশাপাশি বিশ্ব একাদশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি টোয়েন্টি সিরিজও খেলে পাকিস্তান।
Read the full article in ENGLISH