কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা করতেই বিসিসিআইয়ের তরফে আইপিএল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই বিদেশে আইপিএল আয়োজন করার পরামর্শ দিচ্ছেন। বোর্ডও সমস্ত সম্ভবনা খতিয়ে দেখছে। বিপুল আর্থিক ক্ষতির ধাক্কা সামাল দিতে আইপিএল আয়োজনে বদ্ধপরিকর বোর্ড। এর মধ্যেই খবর শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের তরফে আইপিএল আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বোর্ডের কাছে।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট শাম্মি সিলভা সিংহল ডেইলি লংকাদীপা সংবাদপত্রে জানিয়েছেন, "আইপিএল বাতিল করলে বিসিসিআই ও সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ক্ষতি হবে। যদি ওঁরা শ্রীলংকায় ম্যাচ আয়োজন করে তাহলে ভারতীয় দর্শকরা টিভিতে খেলা উপভোগ করতে পারবেন। এর আগেও আইপিএলের বিদেশে দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলার দৃষ্টান্ত রয়েছে। এটা স্পষ্ট যে করোনা মোকাবিলায় ভারতের তুলনায় এখানের পরিস্থিতি আগে স্বাভাবিক হবে। আমাদের প্রস্তাবে বিসিসিআই কী সাড়া দেয়, তার প্রতীক্ষায় রয়েছি।"
এদিকে আইপিএলের বিদেশে খেলায় সায় রয়েছে আরসিবি হেড কোচ সাইমন কাটিচেরও। তবে তাঁর পছন্দের অস্ট্রেলিয়া কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকা। এসইএন রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাটিচের বক্তব্য, "আইপিএলের বেশ কিছু দল বিশেষ করে আমরা বিদেশে খেলতে চাইবো। কারণ আমাদের অধিকাংশ বিদেশি ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়ান অথবা দক্ষিণ আফ্রিকান।"
এর আগে দু মরশুম আইপিএল বিদেশে খেলা হয়। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের কারণে আইপিএলের প্রথম দু সপ্তাহ ইউএই-তে খেলা হয়। ২০০৯ সালের পুরো আইপিএলই অবশ্য আয়োজন করা হয় সাউথ আফ্রিকায়।
বিশ্বে প্রতিদিনই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গোটা বিশ্বে ইতিমধ্যেই ২ মিলিয়নের বেশি লোক আক্রান্ত এই ভাইরাসের কবলে। প্রায় মৃত্যুর সংখ্যা লাখের কোটায়। ২৯ মার্চ থেকে আইপিএল শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে এমন অবস্থায় আইপিএল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল লকডাউন ঘোষণা হওয়ার সঙ্গেই। দ্বিতীয়বার লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পরে টুর্নামেন্ট স্থগিত করে দিতে বাধ্য হয় বোর্ড।