আইসিসির তরফে আগেই সদস্যপদ কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এবার ২০২৪-এ যুব বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্বও কেড়ে নেওয়া হল শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে। আগামী বছর অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে দক্ষিণ আফ্রিকা। এমনটাই জানানো হল আইসিসির তরফ থেকে।
আইসিসির তরফে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের ফান্ডিং নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। দেশের ক্রিকেট বোর্ড সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে আইসিসির সরাসরি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দ্বীপরাষ্ট্রটির ক্রিকেটের ওপর।
ঘটনাচক্রে, ২০২৪-এ যুব বিশ্বকাপের নতুন আয়োজক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা ২০২০-তেও এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিল। কিমবার্লি, ব্লুমফন্টেন, পচেফস্ট্রুম, বেনোনিতে হয়েছিল ম্যাচগুলি।চলতি বছরের শুরুতে মহিলাদের টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপের আয়োজন-ও করেছিল সাউথ আফ্রিকা। প্রসঙ্গত, ২০২৭-এ পরবর্তী ওয়ানডে বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ-ও রামধনু দেশ।
ক্যারিবিয়ানে অনুষ্ঠিত অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। রেকর্ড সংখ্যক পঞ্চমবারের মত বিশ্বজয়ী হয়েছিল ভারতের যুব দল।
কেন নিষেধাজ্ঞার কবলে শ্রীলঙ্কা?
ভারতে বিশ্বকাপ অভিযানে গিয়ে শোচনীয় পারফরম্যান্স, বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে ৫৫ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পর লঙ্কান জাতীয় ক্রিকেট দলকে নিয়ে জন অসন্তোষ পুঞ্জীভূত হচ্ছিল। সেই কারণেই কড়া ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছিলেন শ্রীলঙ্কান ক্রীড়ামন্ত্রী। ভারতের কাছে লজ্জাজনক হারের পর পুরো ক্রিকেট সংস্থাকেই বাতিল করেছিলেন শ্রীলঙ্কান ক্রীড়ামন্ত্রী রোশন রনসিংহে। অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব সামলানোর জন্য ক্রিকেট প্রশাসনে নিয়োগ করা হয়েছিল অর্জুনা রনতুঙ্গাকে।
শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের কার্যনির্বাহী বোর্ডের সমস্ত সদস্যকে ছাঁটাই করার জন্য নোটিশ পাঠিয়েছিলেন লঙ্কান ক্রীড়ামন্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনি জানান, গত বছর টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপের সময় বোর্ডের আধিকারিকদের ভূমিকা কী ছিল, তা তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হবে।
ভারতের কাছে ৩০২ রানের ব্যবধানে কেলেঙ্কারির হার হজম করার পর বোর্ড সদস্যদের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন লঙ্কান ক্রীড়ামন্ত্রী। ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন তিনি।
শ্রীলঙ্কান বোর্ডের ক্রিকেট সচিব মোহন দে সিলভার অফিসের সামনে জনগণ ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায়। তারপর পদত্যাগ করেন তিনি। এরপরেই ক্রীড়ামন্ত্রী বোর্ডের বাকি সদস্যদের ছাঁটাই করেন। তড়িঘড়ি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করে দায়িত্ব দেওয়া হয় বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রণতুঙ্গাকে।
বারবার ক্রিকেট বোর্ড কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপেই আইসিসি এবার নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটকে। আইসিসির তরফে শুক্রবার বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হল, সরকারি হস্তক্ষেপ পুরোপুরি আইসিসির নিয়ম বিরুদ্ধ। এতে আইসিসির নিয়ম লঙ্ঘিত হয়েছে। ক্রিকেট বোর্ডের স্বশাসন বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে।