দেশের আঞ্চলিক ক্রিকেট প্রশাসনে পরিবারতন্ত্রের ছবিটাই আরও একবার সামনে আসতে চলেছে। তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (টিএনসিএ) প্রেসিডেন্ট হিসাবে পেতে চলেছে প্রাক্তন আইসিসি চেয়ারম্য়ান এন শ্রীনিবাসনের কন্য়া রূপা গুরুনাথনকে। অন্য়দিকে সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এসসিএ) প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন প্রাক্তন বিসিসিআই সচিব নিরঞ্জন শাহর ছেলে জয়দেব শাহ।
মনে করা হচ্ছে রূপা গুরুনাথন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রেসিডেন্ট পদে আসতে চলেছেন। কিন্তু ২৫ সেপ্টেম্বরের আগে বিষয়টা চূড়ান্ত হচ্ছে না। কারণ ওদিনই টিএনসিএ-র বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। রূপা প্রেসিডেন্ট পদে আসলে তিনিই প্রথম মহিলা হিসাবে কোনও রাজ্য় ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হবেন।
আরও পড়ুন: প্রয়াত প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার মাধব আপ্তে, শোকস্তব্ধ শচীন থেকে কাম্বলি
-->
দ্য় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে টিএনসিএ-র এক কর্তা জানিয়েছেন, "আমাদের ২৫ সেপ্টেম্বর বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ ততক্ষণ পর্যন্ত যে কেউ মনোনয়ন জমা দিতে পারেন। কিন্তু আমরা আশাবাদী যে রূপাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন। আমাদের ২৬ সদস্য়ের এক্সিকিউটিভ কমিটি ওর মনোনয়নের অনুমোদন দিয়েছে।"
রূপা গুরুনাথন
মনে করা হচ্ছে রূপাকে প্রেসিডেন্ট পদে মনোনীত করার সিদ্ধান্ত বেশ কয়েক মাস আগেই নেওয়া হয়েছে। রূপার স্বামী গুরুনাথ মায়াপ্পনকে বিসিসিআই আজীবন ক্রিকেটে থেকে নির্বাসিত করেছে। চেন্নাই সুপার কিংসের প্রাক্তন কর্তার নাম ২০১৩ আইপিএলের বেটিংয়ের সঙ্গে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল। এই একটা ইস্য়ু ছিল। যদিও রূপা ক্রিকেট প্রশাসনে নতুন নন। শ্রীনির কোম্পানি ইন্ডিয়া সিমেন্টের চেন্নাই লিগে ১৫টি ক্লাব রয়েছে। তিনি সেরকমই একটি ক্লাবের সচিব। পাশাপাশি আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের ম্য়াচের সময়ও তাঁকে একাধিকবার মাঠে দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: কমেন্ট্রিতে কেবিসি ফ্লেভার, অমিতাভ বচ্চনের গলা নকল করলেন সুনীল গাভাস্কর
-->
রূপা ক্ষমতায় আসা মানে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, টিএনসিএ-র মাথার ওপর অদৃশ্য় ছাতা হয়ে থাকবেন সেই শ্রীনিবাসনই। যিনি দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে এই সংস্থার সভাপতি পদে ছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত লোধা কমিটির রায় মেনে শ্রীনির পক্ষে আর ক্রিকেট প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব সামলানো সম্ভব নয়। কারণ তাঁর বয়স ৭০ পেরিয়ে গিয়েছে এবং ন'বছর তিনি পদে ছিলেন। শ্রীনির মতোই নিরঞ্জনও চার দশকের বেশি সময় এসসিএ-র সচিব পদে ছিলেন। তিনিও লোধার নিয়ম মেনে আর ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। ফলে নিরঞ্জনের ছেলে জয়দেবই আসছেন ক্ষমতায়।
Read full story in English