এশীয় ফুটবলে অগাধ অভিজ্ঞতা। তাই ভারতের জাতীয় দলের প্রাক্তন কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনের হাতে দায়িত্ব সঁপেছিল পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশন। ইস্টবেঙ্গলে চাকরি যাওয়ার পর এটাই ছিল ব্রিটিশ কোচের প্রথম কোচিং পর্ব। তবে পাকিস্তানে গিয়েই দায়িত্ব ছাড়তে চাইছেন কনস্টানটাইন।
গত শনিবারই পাকিস্তানের ফুটবল সংস্থার তরফে হেড কোচ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল কনস্টানটাইনের নাম। তবে ৭২ ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই দায়িত্ব ছাড়তে বদ্ধপরিকর কেন তিনি? পাক মিডিয়া প্রোস্পোর্টস জানিয়েছে, পাকিস্তান ফুটবলের দৈন্য দশা দেখে মোহভঙ্গ হয়েছে স্টিফেন কনস্টানটাইন। প্রোস্পোর্টস-কে তিনি জানিয়েছেন, "এরকম পরিকাঠামো আগে কখনও দেখিনি। এমনকি নব্বইয়ের দশকেও নয়।" তিনি দায়িত্ব ছাড়তে এতটাই মরিয়া যে পাক ফুটবল সংস্থার কাছে দেশে ফেরার রিটার্ন টিকিটও চেয়ে বসেছেন।
ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপের কোয়ালিফায়ারে খেলতে নামবে পাকিস্তান। দু-সপ্তাহ পরেই দ্বিতীয় ডিভিশনের কোয়ালিফায়ারে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে কম্বোডিয়া। তবে হঠাৎ কনস্টানটাইন বেঁকে বসায় বিপাকে পড়েছে পাক ফুটবল সংস্থা। জানা গিয়েছে, পাক বোর্ডের কর্তারা, উপযুক্ত পরিকাঠামোর, অনুশীলনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আয়োজন করার আশ্বাস দিয়েছেন।
শেহজাদ আনোয়ার পাকিস্তানের জাতীয় দলের হেড কোচ ছিলেন। তবে বারবার হতাশাজনক পারফরম্যান্স করার পর পাক ফুটবল সংস্থার তরফে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে আনোয়ারকে। তবে এখন খোদ নতুন কোচ অরাজি হওয়ায় বেশ সমস্যায় পাকিস্তানের ফুটবল।
ভারতের জাতীয় দলের কোচ ছিলেন ২০১৫ থেকে। ২০১৯ পর্যন্ত দায়িত্ব সামলেছেন টিম ইন্ডিয়ার। তার আগে একদফায় ২০০২ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত ভারতের হেড কোচ ছিলেন। কোচ হিসেবে টিম ইন্ডিয়ার তাঁর সবথেকে বড় কৃতিত্ব ছিল ভারতকে ১৭৬ থেকে ফিফা ক্রমতালিকায় ৯৬-এ পৌঁছে দেওয়া। এছাড়াও তাঁর আমলে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স কাপের কোয়ালিফিকেশনও পেয়েছিল ভারত। উইম কোয়েভারম্যান্সকে সরিয়ে ভারতের কোচ হন তিনি।
ভারতের জাতীয় দলের কোচ ইস্টবেঙ্গলে অনেক আশা নিয়ে এসেছিলেন। তবে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন 'অজুহাত'। বারবার দল গঠন থেকে টিম ম্যানেজমেন্টের উদ্দেশ্যে বিষোদগার করেছেন। বারবার ব্যর্থ হওয়ার মঞ্চে স্বল্প সময়ের দল গঠনকে ঢাল করেছেন। কনস্টানটাইনের আমলে শোচনীয় পারফর্ম করেছে ইস্টবেঙ্গল। আর পাকিস্তানে গিয়েও কি সেই অজুহাতের 'খেলা' চালু হয়ে গেল? প্ৰশ্ন উঠে গেল কদিনেই।