জীবনের সেরা ছন্দে রয়েছেন স্টিভ স্মিথ। চলতি অ্যাসেজে একার হাতে অস্ট্রেলিয়াকে টানছেন। স্মিথের সৌজন্যেই অ্যাসেজে অস্ট্রেলিয়া ২-১-এ লিড নিতে সক্ষম হয়েছে। একটা দ্বিশতরান, দুটো শতরান সহ দুটো অর্ধশতরান বেরিয়েছে স্টিভ স্মিথের 'বল্লা' থেকে। একটি টেস্ট না খেলেও স্মিথ আপাতত চলতি অ্যাসেজের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ৩ টেস্টে অংশ নিয়েই স্মিথের সংগ্রহে ৬৭১ রান। গড় ১৩৪.২। স্মিথের অবিশ্বাস্য ফর্মের কারণেই তিনি আপাতত আইসিসি-র টেস্ট র্যাঙ্কিং-এ একনম্বরে রয়েছেন।
পঞ্চম টেস্টের আগে স্মিথ আবার অনন্য এক নজিরের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। স্যর ডন ব্র্যাডম্যানকে স্পর্শ করার বিরল সুযোগ রয়েছে তাঁর কাছে। শেষ ও সিরিজ নির্ণায়ক টেস্টের দুই ইনিংসে স্মিথ যদি দুই ইনিংসে ৩০৪ রান করতে পারেন, তাহলে অ্যাসেজ সহ টেস্টের ইতিহাসে কোনও এক সিরিজে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার বিরল কীর্তি গড়বেন তিনি। এতদিন এই নজির দখলে ছিল স্বয়ং ব্র্যাডম্যানের। ১৯৩০ সালের অ্যাসেজে ডন ব্র্যাডম্যান করেছিলেন ৯৭৪ রান। আপাতত একটি টেস্ট কম খেলেই স্মিথ মাত্র ৩০৪ রান দূরে। সেই রান ব্যাটে করলেই স্মিথ টেস্টের ইতিহাসে কোনও সিরিজে সর্বোচ্চ রান শিকারী হয়ে যাবেন।
বল বিকৃতি কাণ্ডে জড়িয়ে স্মিথ এক বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হয়েছিলেন। প্রত্যাবর্তনের পরে আইপিএল ও বিশ্বকাপের পুরনো স্মিথকে পাওয়া যায়নি। তবে অ্যাসেজে আগুনে ফর্মের স্মিথ প্রত্যাবর্তন করেছেন। একাই সিরিজের ফুল ফোটাচ্ছেন। চতুর্থ টেস্টের দুই ইনিংসে ২১১ ও ৮২ করায় রেটিং ৯৩৭ পয়েন্ট অর্জন করেন। এতেই বিরাট কোহলিকে র্যাঙ্কিং-এ টপকে শীর্ষস্থান দখল করেন।
এজবাস্টনে জয়ের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টে যথাক্রমে ড্র ও হারতে হয়েছিল অজিদের। তারপর চোট সারিয়ে স্মিথের প্রত্যাবর্তনেই ২-১ এ লিড নেওয়া। এতেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে, অ্যাসেজের দখলদারি আপাতত হারাতে হচ্ছে না অস্ট্রেলিয়াকে। স্মিথ সিরিজ নির্ণায়ক টেস্টে নামার আগেই ঘোষণা করে দিয়েছেন, "অ্যাসেজ পাত্র আমাদের দেশেই ফেরত আসছে, এটা ভাবতেই ভাল লাগছে।"