থামানোই যাচ্ছে না স্টিভ স্মিথকে। প্রথম ইনিংসের পরে দ্বিতীয় ইনিংসেও শতরান করে ফেললেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা ব্য়াটসম্যান। প্রত্যাবর্তনের টেস্টের প্রথম ইনিংসেই সেঞ্চুরি হাকিয়ে কোহলিকে পেরিয়ে গিয়েছিলেন দ্রুততম হওয়ার নিরিখে। এবারও ২৫টি টেস্ট শতরানের ক্ষেত্রে একইভাবে পিছনে ফেললেন কোহলিকে। এজবাস্টনের দুই টেস্টেই শতরান হাকানোর সুবাদে ২৫টি সেঞ্চুরির মালিক হয়ে গেলেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের জবাবে ইংল্যান্ড স্কোরবোর্ডে তুলেছিল ৩৭৪। দ্বিতীয় ইনিংসে একসময় ৭৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদঘণ্টা বেজে গিয়েছিল অজিদের। সেখান থেকেই প্রথম ইনিংসের মতো ত্রাতা স্টিভ স্মিথ। তাঁর সঙ্গে হাফসেঞ্চুরি করে ব্যাটিং করছেন ম্যাথু ওয়েড।
আরও পড়ুন মাঠে নামার আগেই ‘হার’ কোহলির! ঐতিহাসিক রেকর্ড ছারখার ‘চিরশত্রু’র ব্যাটে
যাইহোক, শতরানের সংখ্যার নিরিখে তো বটেই, একাধিক ক্ষেত্রে কোহলিকে পিছনে ফেলে দিলেন স্টিভ স্মিথ। ২৫টি শতরান হাকাতে স্মিথের লাগল ১১৯টি ইনিংস। কোহলি সেখানে ২৫টি শতরান করেছিলেন ১২৭ ইনিংসে। শচীনের আবার সমসংখ্যক শতরান করেছিলেন ১৩০ ইনিংসে। ডন ব্র্যাডম্যান অবশ্য সকলের ধরাছোঁয়ার বাইরে। মাত্র ৬৮ ইনিংসে ২৫টি শতরান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। পাশাপাশি এজবাস্টনের দুই ইনিংসেই শতরানের সৌজন্যে পঞ্চম অস্ট্রেলীয় ব্য়াটসম্যান হিসেবে কীর্তি গড়লেন তিনি।
স্মিথের রাজকীয় জোড়া শতরানের প্রভাব এতটাই বেশি যে শত্রুশিবিরের প্রাক্তনী মাইকেল ভন-ও তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। জানিয়ে দিয়েছেন, স্টিভ স্মিথই তাঁর দেখা সেরা ব্যাটসম্যান। বাইশ গজেই কলঙ্কিত হয়ে বছরখানেক মাঠের বাইরে নির্বাসিত হতে হয়েছিল তাঁকে। সেই সময় খেলা ছেড়ে দেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন। তবে রূপকথার প্রত্যাবর্তন যে তিনি ব্য়াটে লিখবেন, তাও আবার অ্যাসেজে, তা কি তিনি স্বপ্নেও ভেবেছিলেন।