Advertisment

শপিং, সেলুন, নিমন্ত্রণ ভুলে যাও, অ্যাথলিটদের বলছে ফেডারেশন

বেঙ্গালুরুর সাইয়ের ক্যাম্পে অনেক পুরুষ ও মহিলা হকি প্লেয়ার আটকা রয়েছেন মার্চ মাস থেকে। নতুন নির্দেশিকা জারি হতে চলেছে এথলিটদের জন্য।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে যাওয়া যাবে না, শপিং মলে কেনাকাটা, পার্লার, আইস বাথ, আইসক্রিম, অপরিচিতদের সঙ্গে মেলামেশা কিংবা গলা জড়িয়ে ধরা- এসব আপাতত ভুলে যেতে হবে। দেশের এথলিটদের এমনই কড়া বার্তা দিল দেশের এথলেটিক্স ফেডারেশন।

Advertisment

ট্র্যাক এন্ড ফিল্ডের এথলিটরা যখন করোনা পরবর্তী সময়ে অনুশীলন শুরু করবেন তখন করা নিয়মাবলী পালন করতেই হবে। এথলেটিক্স সংস্থা আপাতত এমনটাই জানিয়ে দিল। বলা হল, প্রয়োজন ছাড়া অন্য কারোর সঙ্গে যেন কন্টাক্ট এ না আসে এথলেটিক্সরা।

২২টি নির্দেশিকা সম্বলিত সেই গাইডলাইন এখনও সরকারীভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে ফেডারেশনের এক কর্তা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়ে রাখলেন, যদি কেউ এই নির্দেশিকা পালন না করেন, তাহলে সঙ্গেসঙ্গে তাঁকে অনুশীলন বন্ধ করে দিতে বলবেন পর্যবেক্ষকরা।

কবে এথলিটরা ট্র্যাকে ফিরবেন, তা এখনো সরকারিভাবে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফে জানানো হয়নি। সাইয়ের এক কর্তা বলেছেন, বেঙ্গালুরু ও পাতিয়ালার সেন্টারগুলো সহ জাতীয় ক্যাম্পগুলো পুনরায় চালু করা হবে শীঘ্রই। সাইয়ের ক্যাম্পাসে এখনো অনেক এথলিট আটকে রয়েছেন। গাইডলাইন প্রকাশের সঙ্গেই জানিয়ে দেওয়া হবে কবে পুনরায় অনুশীলন শুরু করতে পারবেন তাঁরা। তিনি বলেছেন, হোস্টেলে যাঁরা রয়েছেন, তারা কেবলমাত্র অনুশীলন করার জন্যই হোস্টেল থেকে বেরোতে পারবেন। কোনো চিকিৎসা কিংবা প্রয়োজনে হোস্টেল ছেড়ে বেরোনো যাবে না। প্রত্যেকের কাছেই করণীয় বিষয়ের গাইডলাইন তুলে দেওয়া হবে।

সেই গাইডলাইনে বলা হচ্ছে, ট্রেনিং শুরুর মাত্র ৫ মিনিট আগে হোস্টেল ছাড়তে হবে তাদের। ট্র্যাকে অন্যদের সঙ্গে বেশি ঘোরাঘুরি করা যাবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মাঠকর্মীদেরও অনুশীলনের জায়গায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। সমস্ত সরঞ্জাম এথলিটদের কাছে পৌঁছে দেবেন স্বয়ং কোচ।

অনুশীলন কেন্দ্রের আশেপাশে থুতু ফেলা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। সতীর্থদের সঙ্গে কোলাকুলি করা, হ্যান্ডশেক করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। অনুশীলন থেকে ফিরে সঙ্গেসঙ্গেই সমস্ত এথলিটদের স্নান করতে হবে।

ফেডারেশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবারই এই নির্দেশিকা প্রকাশ্যে জানানো হবে। ইতিমধ্যেই সাইয়ের কাছে এই গাইডলাইন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

অনুশীলনের বাইরের নির্দেশিকা বেশ করা। সেখানে বলা হচ্ছে, শপিং করতে, পার্লারে, নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে কারোর বাড়িতে তো যাওয়া যাবেই না। সেই সঙ্গে বাইরে থেকে কোনো কিছু পার্সেলে অর্ডার করা যাবে না।

Hockey
Advertisment