যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে যোগ্যতা অর্জন করেছেন। তবে সুমিত নাগালের ইতিহাস গড়া এখানেই থেমে থাকছে না। কারণ, ইউএস ওপেনে প্রথম রাউন্ডেই সুমিত নাগালের সামনে স্বয়ং রজার ফেডেরার। সর্বকালের অন্যতম সেরা মহাতারকার বিপক্ষেই গ্র্যান্ড স্ল্যাম অভিষেক ঘটতে চলেছে ভারতীয় তারকার। যোগ্যতা অর্জন পর্বে ব্রাজিলের জোয়াও মেনেজেসকে দুরন্ত কামব্যাক করার জেতার পরেও নাগাল সম্ভবত ভাবতে পারেননি সুইস কিংবদন্তির মুখোমুখি হতে হবে তাঁকে।
যোগ্যতা অর্জন পর্বে ব্রাজিলের জোয়াও মেনেজেসের বিরুদ্ধে প্রথম সেটেই হেরে বসেছিলেন নাগাল। সেখান থেকে পরের দুটো সেট জিতে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে কোয়ালিফাই করেন তিনি। ২ ঘণ্টা ২৭ মিনিটের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে খেলার ফলাফল ভারতীয় তারকার পক্ষে ৫-৭, ৬-৪, ৬-৩। যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের মূল পর্বে খেলার টিকিট নিশ্চিত করার পরেই নাগাল হয়ে গেলেন পঞ্চম ভারতীয় যিনি কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামের সিঙ্গলসে প্রধান রাউন্ডে খেলবেন। এর আগে ভারতীয় হিসেবে কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামের মূলপর্বের সিঙ্গলসে খেলার নজির গড়েছিলেন সোমদেব দেববর্মণ, ইউকি ভামব্রি, সাকেত মিনেনি এবং প্রজনেশ গুণশ্বরণ।
নাগাল হলেন ষষ্ঠ ভারতীয় টেনিস তারকা যিনি কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামের যুব পর্যায়ে খেতাব জিতেছিলেন। ভিয়েতনামের নাম হোয়াং লিকে নিয়ে খেলতে নেমে ডাবলসে ২০১৫ সালে উইম্বলডনের ট্রফি জেতেন। তবে চলতি ইউএস ওপেনের তাৎপর্য অন্যত্র। নাগালের সঙ্গেই ইউএস ওপেনের সিঙ্গলসে খেলছেন প্রজনেশ গুন্নেশ্বরণ। ১৯৯৮ সালের পরে এই প্রথম কোনও গ্র্য়ান্ড স্ল্যামের সিঙ্গলসে একইসঙ্গে দুই ভারতীয় খেলছেন। ২১ বছর আগে লিয়েন্ডার পেজ এবং মহেশ ভূপতি উইম্বলডনে সিঙ্গলসে অংশ নিয়েছিলেন।
নাগালের মেন্টর স্বয়ং ভূপতিই। যিনি প্রথম হরিয়ানার ঝাঝরের তরুণের প্রতিভা বুঝতে পারেন। তারপরে মহেশের দেখানো পথেই বেড়ে উঠেছেন সুমিত নাগাল। শিষ্যের গ্র্য়ান্ড স্ল্যাম অভিষেকের আগে মহেশ ভূপতি সংবাদসংস্থাকে বলেন, "প্রথম দিকে, চোট আঘাতের সমস্যায় ভুগছিল সুমিত। তবে এই পর্যায়ে পৌঁছনোর জন্য ও অনেক পরিশ্রম করেছে। যে কোনও যোগ্যতাঅর্জনকারীর জন্য প্রথম রাউন্ডে ফেডেরারের মুখোমুখি হওয়াটা স্বপ্নের। একই সঙ্গে দুঃস্বপ্নেরও। তবে এই অভিজ্ঞতা ওকে আগামী দিনে আত্মবিশ্বাস জোগাতে সাহায্য করবে।"
ফেডেরারের বিরুদ্ধে নামার আগে নাগালকে টিপসও দিয়েছেন ভূপতি। জানিয়েছেন, "কোনও চিন্তাভাবনা না করে স্রেফ মুহূর্তটা এনজয় করা উচিত ওর। নিজের মতো খেলা চালিয়ে যাক ও।"
Read the full article in ENGLISH