কেরলের মল্লপুরম এলাকায় হাতিকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। গোটা দেশ প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। এবার সেই প্রতিবাদে গলা মেলালেন জাতীয় ক্রিকেট ও ফুটবল দলের দুই অধিনায়ক- বিরাট কোহলি ও সুনীল ছেত্রী। বিরাট কোহলি সাফ জানিয়ে দিলেন, এমন কাপুরুষের মত কাজ অবিলম্বে বন্ধ করা হোক। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, সমস্ত প্রাণীর প্রতি যেন সম্মান প্রদর্শন করা হয়।
নিজের টুইটার একাউন্টে কোহলি লিখেছেন, "কেরালায় যা ঘটেছে, তা জানতে পেরে বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছি। এসো আমরা আমাদের প্রাণীদের প্রতি ভালোবাসা ব্যক্ত করি। এবং এই কাপুরুষের মত কাজ শেষ করি।"
Appalled to hear about what happened in Kerala. Let's treat our animals with love and bring an end to these cowardly acts. pic.twitter.com/3oIVZASpag
— Virat Kohli (@imVkohli) June 3, 2020
কোহলির মতোই হাতি-হত্যার ঘটনায় সরব হয়েছেন জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন সুনীল ছেত্রী। সেই ঘটনার কড়া নিন্দা করে সুনীল লিখেছেন, "গর্ভবতী হাতিটা কোনো ক্ষতি করেনি। এই কাজ করে মানুষই নিজেদের দৈত্য বানিয়েছে। আশা করব ওদের যেন শাস্তি হয়। আমরা প্রকৃতিকে বারবার হতাশ করছি। আমাকে কেউ জানাও, কিভাবে আমরা উন্নত প্রাণী হলাম?"
She was a harmless, pregnant Elephant. That makes the people who did what they did, monsters and I hope so hard that they pay a price. We keep failing nature over and over again. Remind me how we’re the more evolved species?
— Sunil Chhetri (@chetrisunil11) June 3, 2020
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসা একটি গর্ভবতী হাতি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। সেই হাতিকেই আনারসের মধ্যে বাজি পুড়িয়ে খাইয়ে দিয়েছিল মল্লপুরম এলাকার কয়েকজন।
স্থানীয়দের দেওয়া আনারস খেতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেনি হাতিটি। জানত না, আনারসের মধ্যে পুরে দেওয়া হয়েছে বাজি-পটকা। তার মুখের মধ্যেই ফেটে যায় সেগুলি। এক হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে অবশ্যম্ভাবী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে, সঙ্গে নিয়ে যায় নতুন একটি প্রাণও।
গত বুধবারের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে যখন উত্তর কেরালার মালাপ্পুরম জেলার বনবিভাগের এক আধিকারিক সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বীভৎস মৃত্যুর বর্ণনা দেন। তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেওয়া হয়েছে। শাস্তির দাবিতে সরব সবাই।
প্রসঙ্গত, এর আগে অনুষ্কা শর্মাও এই ঘটনার কড়া নিন্দা করে ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছিলেন, এই কারণেই প্রাণী হত্যার জন্য কঠিনতম শাস্তি প্রয়োজন!